শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে লাঞ্চিত করলেন বেলকুচির বিদ্রোহী মেয়র। কালের খবর

উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে লাঞ্চিত করলেন বেলকুচির বিদ্রোহী মেয়র। কালের খবর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার বিরুদ্ধে এবার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলখোশ আলী প্রামানিক ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকারকে লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে বেলকুচি উপজেলা হলরুমে আয়োজিত মাসিক আইনশঙ্খলা কমিটির সভায় সরকারী দলের দুই সিনিয়র নেতাকে বের করে দিতে উত্তপ্তবাক্য বিনিময় করে তাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেন আ’লীগের বিদ্রোহী মেয়র রেজা। এঘটনায় তৃণমুল আওয়ামীলীগে তুমুল ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগ সুত্র জানান, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাসিক সভায় ক্ষমতাশীন দলের হয়ে সভায় অংশ গ্রহন করে আসছে আমাদের শীর্ষ নেতারা। এর আগে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ও তারা একাধিক নেতা সভায় অংশ নিত। এছাড়া প্রায় ২৬ বছর ধরে উপজেলার মাসিক সভায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত থাকতেন। তবে বিগত উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে বেলকুচিতে দুই সহোদর আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তারা কারনে অকারনে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের হুমকি ধমকি ও অপমান অপদস্ত করে আসছে। সবশেষ মাসিক সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণ দুই নেতাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে।
এবিষয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সরকার জানান, দুই ভাই বিদ্রোহী মেয়র ও চেয়ারম্যান হয়ে পরিকল্পিত ভাবে আ’লীগ বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে নেতাদের মান ইজ্জত ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। এর আগের একটি সভায় দুই সহোদর মিলে প্রস্তাবনা দিয়ে আ’লীগের নেতাদের সভায় উপস্থিতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পায়তারা করছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় হুমকি ধমকি দিয়ে সভা স্থল থেকে বের হতে বলে। এসময় মেয়র রেজা ও আওয়ামীলীগের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। ওই ঘটনার সময় বাইরেও শুরু হয় হট্টগোল। ঘোলাটে ও উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে দ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা নেন। এসময় পুলিশের সাথেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন রেজা। তবে সভায় মেয়র রেজা বলেন, মাসিক সভায় আওয়ামীলীগের কেউ থাকলে, আমি সভায় থাকবো না। এছাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সভা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন রেজা। রেজার সহোদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল সভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল।
এদিকে, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলখোশ প্রামানিক বলেন, বিদ্রোহী দুই ভাই মিলে উপজেলা মাসিক সভায় আামদের লাঞ্চিত করেছে। এটা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা। তারা দুই ভাই মিলে বেলকুচি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান জানান, মাসিক সভায় উপস্থিতি নিয়ে কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, আইন শৃঙ্খলা বা সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকা নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকের সাথে মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার বাগবিতন্ডতা ও হট্টগোল হলেও শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com