বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর
সাংবাদিককে আটকে রেখে চোখ ও হাত বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ। কালের খবর

সাংবাদিককে আটকে রেখে চোখ ও হাত বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাতে আটক হয়ে জামিনে মুক্তি পাওয়া ময়মনসিংহের এক সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, তাঁকে আটকের পর চোখ ও হাত বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি ‘ক্রসফায়ারে’ দেবে বলে তাঁকে দোয়া-দরুদ পড়তে বলা হয়।

গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক। যিনি ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনের’ সম্পাদক।
২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয় বলে জানান খায়রুল। তিনি বলেন, ৩ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল তাঁকে চোখ বেঁধে একটি কালো গাড়িতে তুলে ফেলে। নিয়ে যায় তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার কার্যালয়ে। সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র পুরাতন গুদারাঘাট এলাকার দুর্গম চরে।

খায়রুল বলেন, ‘চোখ বাঁধা অবস্থায় দুই হাত পেছনে বেঁধে আমার ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। ক্রসফায়ার দেওয়া হবে জানিয়ে আমাকে দোয়া-দরুদ পড়তে বলা হয়। সেই নির্যাতনের কথা কোনো দিন ভোলার নয়। আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি। কয়েক মাস হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পাই।’

এসআই আকরামের হাতে নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন খায়রুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমি আজও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না।’
দুই বছর পরে বিষয়টি কেন সামনে এনেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে খায়রুল বলেন, লজ্জার কারণে তিনি ঘটনাটি সামনে আনতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, গত বছরের ডিসেম্বরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এসআই আকরামের হয়ে তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় তাঁর চোখ বাঁধা উলঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস করার হুমকি দেয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২২ ডিসেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁর ম্যাসেঞ্জারে তাঁর চোখ বাঁধা ছবি পাঠায়।

সাংবাদিক খায়রুল বলেন, ২০১৬-১৮ সালে ময়মনসিংহে কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকরামের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, যৌনপল্লীতে নারী পাচার, সন্ত্রাসীদের অপরাধ কার্যক্রমে সহযোগিতার অভিযোগ ছিল। সে সময় এসআই আকরামের এসব অপরাধের চিত্র নিজের সম্পাদিত পত্রিকায় তুলে ধরেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় শহরের চরপাড়ায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে এসআই আকরাম হোসেনের ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি। ওই সময় এসআই আকরাম ৩ নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com