রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
মোঃ রফিকুল ইসলাম, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি, কালের খবর :
বরগুনার তালতলীতে নোথায়ং মগ নামের এক রাখাইনের মৃত্যুদেহ
উদ্ধারকে কেন্দ্র করে কোন অভিযোগ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলক এলাকার
দরিদ্র ও নিরীহ ইউনুচ এবং ইউসুফকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
পরে রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নিযার্তন ও ৪০ হাজার টাকা ঘুষ
নেয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার এলাকার ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ উপজেলার
নামিশেপাড়ার সড়কে ওই জেলা ডিবি পুলিশের ওসি খন্দকার জাকির
হোসেন ও এস আই আশরাফের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০১৭ সালের ২২ জুন উপজেলার
নামিশেপাড়া এলাকায় নোথায়ং মং নামের এক রাখাইনের
অর্ধগলিত লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই
রাখাইনের নাতি জোয়েন মং বাদী হয়ে একই এলাকার শাহআলম মীর,
ইলিয়াস মীর, আল-আমিন মীর ও নজরুলকে আসামী করে একটি
হত্যা মামলা করেন। মামলাটি এক্সট্রে করায় আফ্রুসে রাখাইন বাদী
হয়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ফৌজদারী রিভিশন মামলা দায়ের
করেন। ফৌজদারী রিভিশন শুনানির পরে আদালত জোয়েন মগের মামলার
সাথে এড করে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের
নির্দেশ দেয়। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি ডিবিতে
বদলী হলে ডিবির তদন্তকারী কর্মকতার্ ওসি খন্দকার জাকির
হোসেন ও এসআই আশরাফ উদ্দিন জোয়েন ও বাদী আফ্রুসে মগের
দায়ের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কোন
কারন ছাড়াই এলাকার নীরিহ ও দরিদ্র ইউসুফ মুন্সী এবং ইউনুচ
মুন্সীকে গত ১৫ নভেম্বরে আটক করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে
নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের নির্যাতন করেন। মানববন্ধনে ইউসুফ
মুন্সী এবং ইউনুচ মুন্সীর ছোটভাই ইদ্রিস মুন্সী বলেন, রিমান্ডে
নির্যাতন না করার জন্য তারা ৫০হাজার টাকা দাবী করলে তাদেরকে
৪০ হাজার টাকা দেই। এরপরেও ভাইদের রিমান্ডে নিয়ে পুরুষঙ্গে
গলিত মোম ও অমানুষিক নির্যাতন করে মামলার স্বীকারোক্তি
নেওয়া হয়।
মানবন্ধনে শহিদ মিয়া বলেন, এলাকায় নিরীহ লোকদের ডিবির ওসি
জাকির ও এসআই আশরাফ বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করে আসছে।
তাদের হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
সহযোগিতা কামনা করছে মানববন্ধনে আসা ৫ শতাধিক নারী-
পুরুষ। ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীর দ্রুত মুক্তি দাবী করেন
তারা।
এবিষয়ে ডিবির ওসি খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, আমাদের
বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনে মানববন্ধন করা হয়েছে তা
সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি হত্যা মামলার তদন্তে প্রমান
পেয়ে ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে গ্রেফতার করা হয়।
ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে কোনো ধরনের নির্যাতন ও
তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ
পেলে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।