ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হানিফ মিয়া(৩৫) নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন করেছে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মনেক বাহিনী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে আজ দুপুরে জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজির পর আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির পাশে একটি খালের পাড়ে হানিফের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। ব্যবসায়ী হানিফকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ খালের পাড়ে ফেলে যায় হত্যাকারীরা।
খবর পেয়ে নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম ও স্ত্রী সীমু আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও একাধিক মামলার আসামি মনেক মিয়া পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা মনেকের ফাঁসি চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বলেন, মনেক বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। গত কয়েক বছর আগে মনেকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসী মনেকের ভাই মানিক মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। সে সময় মানিকের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী । সে ঘটনার পর থেকেই ব্যবসায়ী হানিফের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল কুখ্যাত মনেক।
একের পর এক অতর্কিত হামলার ফলে নুরজাহানপুর গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে সলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মামূনূর রশীদ বলেন, মনেক এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী । তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে বহুদিন ধরে পলাতক। তবে রাতে প্রায়ই সে এলাকায় তার বাহিনী নিয়ে এসে লোকজনের ওপর অত্যাচার চালায় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন ঘটনাস্থল ঘুরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। খুনিদের ধরতে পুলিশ এর মধ্যে মাঠে নেমেছে।