সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ফারুক আলম তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ। কালের খবর খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক। কালের খবর মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান। কালের খবর ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত হলো সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব। কালের খবর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মাটিরাঙ্গায় বিএনপির বিক্ষাভ সমাবেশ। কালের খবর কুষ্টিয়ায় এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। কালের খবর গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আফজাল ভূঁইয়া। কালের খবর কুষ্টিয়ায় এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। কালের খবর নবীনগরে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ। কালের খবর সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহবান। কালের খবর
বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে হাতির চাঁদাবাজি!। কালের খবর

বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে হাতির চাঁদাবাজি!। কালের খবর

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে হাতির চাঁদাবাজি। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে হাতির চাঁদাবাজি। প্রায়ই এমন চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষ। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার এই দুই দিন উপজেলার বেতাগী পৌরসভাসহ মোকামিয়ার মাদ্রাসা বাজার ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের নিলখোলা,জলিশাবাজারে খোঁজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের কাছে হাতির চাঁদাবাজির কথা জানা যায়।

পৌরসভার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, গতকাল সকাল থেকেই বাজারের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের মোড় হয়ে লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রতিটি দোকানে দুজন মিলে একটি বড় হাতি নিয়ে হানা দেয়। দোকানপ্রতি কমপক্ষে ২০ টাকা করে আদায় করা হয়। হাতি নিয়ে দোকানের সামনে এসে তারা দাঁড়ান, টাকা না দেয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হচ্ছে না। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে বিক্রিতেও সমস্যা হচ্ছে।

জলিশা বাজারের ব্যবসায়ী মো.শফিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। গতকাল বিকালে উপজেলার মোকামিয়ার হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বড় হাতির পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করছেন। তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন তারই এক সহযোগী। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না।

বাজারের দুই ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই অনেক খাতে টাকা দিতে হয়। বর্তমানে হাতিকেও দিতে হচ্ছে। বিষয়টি খুবই পীড়াদায়ক। হাতি পরিচালনাকারী একজন বলেন, একটি বড় ও একটি বাচ্চা হাতি নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা নেয়া হয়। তবে টাকা নেয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তা–ই নেয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বনের পশু পালনের জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। সার্কাস দলে পালনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। তবে বন্য এসব পশুর যাবতীয় দায়িত্ব মালিকের। এভাবে টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। বড় হাতি অথবা বাচ্চা হাতি দিয়ে এভাবে টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.রাজীব আহসান আজ বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে  বলেন, এভাবে বন্যপশু দিয়ে টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com