রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
সাঈদুর রহমান,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে জোরপূর্বক চেক স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক প্রতিবন্ধি স্কুলের সভাপতি। মামলা করার পর নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ওই স্কুলের সভাপতি মাওলানা মোস্তফা কামাল। তিনি ভারতীয় সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি।
স্কুলের সভাপতি মাওলানা মোস্তফা কামাল জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুল যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সেখানে ১০০ জন কার্ডধারী প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি স্কুলের প্রয়োজনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের একটি ডিও লেটার দরকার পড়ে। সে জন্য স্থানীয় স্বরুপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে যায়। এসময় তিনি ডিও লেটার নেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। পরে আমি নিজেই সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলের কাছ থেকে বিনা টাকায় একটি ডিও লেটার নিয়ে আসি। এরপর থেকে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানটি ওই চেয়ার্যানের রোষানলে পড়ে।
এরই পরিপেক্ষিতে গত ২৩ জুন রাত ৯টার সময় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তার পরিষদে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক পাঁচ লাখ টাকার তিনটি চেকে স্বাক্ষর করে নেন। এরপর আমি ৩০ জুন চেক উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৮১/২০২০।
মামলার পর আমাকে মিথ্যা মামলা, বাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এবং জীবননাশসহ মিডিয়ার মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্নসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি পাওয়ার পর স্থানীয় স্বরুপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দ্বারা আমি ও আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি এমন আশঙ্কায় ঝিনাইদহ ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে ৫ জুলাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৭ ধারায় একটি মামলা করেছি।
আবু বকর নামের ওই স্কুলের এক শিক্ষক জানান, চেয়ারম্যান বা আমরা কেউ সভাপতির কাছ থেকে চেক জোর করে স্বাক্ষর করে নেয়নি। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মধ্যস্থতায় সভাপতি মোস্তফা কামাল নিজ ইচ্ছায় আমাদের পাঁচ লাখ টাকার তিনটি চেক স্বাক্ষর করে দেন। এই টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকের হিসাবে টাকা না থাকায় চেক ডিসঅনার করে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে যোগ করেন।
অভিযুক্ত স্বরুপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, চেক আমি জোর করে নেয়নি। স্কুলের সভাপতি চাকরী দেওয়ার নাম করে ২২ জনের কাছ থেকে প্রায় সাত লাখ টাকা নিয়েছিল তার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার তিনটি চেক তিন শিক্ষককে দেন। চেকে টাকা না থাকায় তারা ইতিমধ্যে ডিসঅনার করে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু সভাপতি প্রকৃত সত্য আড়াল করতেই আমার নামে মামলা করেছে।