শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
খন্দকার সাদিকুল আলম, কুষ্টিয়া, কালের খবর : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকা থেকে আড়াই কোটি টাকা মুল্যের জাল ব্যান্ডরোল, অবৈধভাবে উৎপাদনকৃত সিগারেট, সিগারেট তৈরীর কাঁচামাল ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ন-১২-এর সহযোগিতায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এসএসআই) সংস্থা ভারগন টোবাকো কোম্পানির ৩টি গোডাউনে এই অভিযান পারিচালনা করে।
এসময় ভারগন টোবাকোর ম্যানেজার কাজী রাসেল আজাদ রিপনকে আটক করা হয় এবং অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদনের সাথে দুইজন রাজস্ব কর্মকর্তার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
জানা যায়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় গোয়ন্দা সংস্থা এনএসআই জানতে পারে যে জেলার সদর উপজেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকায় ভারগন টোবাকো দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ সেখানে আজ এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ভারগন টোবাকোর ৩টি গোডাউন থেকে আনমানিক ৩০-৩৫ হাজার জাল ব্যন্ডরোল, ৩৫-৪০ কার্টুন অবৈধভাবে উৎপাদনকৃত সিগারেট, সিগারেট তৈরীর কাঁচামাল এবং অবৈধভাবে আমদানিকৃত সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। অভিযানে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ভারগন টোবাকোর ম্যানেজার রিপনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে, কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভারগন টোবাকোর বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জামান ও প্রানেশ কুমার সরকারের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ও সহযোগিতায় ভারগন টোবাকোর সামগ্রীক অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এই দুই সরকারি কর্মকর্তা ভারগন টোবাকোর আতিথেয়তায় সেখানে অবস্থানপূর্বক বিভিন্ন অবৈধ সুবিধাও ভোগ করে আসছিল। এমনকি, তাদের জন্য বিলাসবহুল আবাসনও বরাদ্দ ছিল।