বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকতার হুমকি দেশের জন্য অকল্যাণকর। কালের খবর : মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত। কালের খবর রায়পুরায় ৩১ দফা গণতন্ত্রের সনদ : কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শ্যামল। কালের খবর খাগড়াছড়ি পাজেপ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ। কালের খবর নবীনগর-কড়ইকান্দি-আড়াইহাজার রাস্তাটি খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। কালের খবর বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর সুস্থতা কামনায় মসজিদে রাসুল (সা:) জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু। কালের খবর মাটিরাঙ্গা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বিদায় ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ। কালের খবর পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশন কতৃক বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড মহিলা দলের কাউন্সিল সম্পন্ন। কালের খবর
ডেমরা-মেরাদিয়া-বনশ্রীতে উন্নয়ন কাজে ধীরগতি : সীমাহীন ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। কালের খবর

ডেমরা-মেরাদিয়া-বনশ্রীতে উন্নয়ন কাজে ধীরগতি : সীমাহীন ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। কালের খবর

ডেমরা প্রতিনি, কালের খবর :

ডেমরা-মেরাদিয়া-বনশ্রীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নর্দমাসহ সড়ক উন্নয়ন কাজ, চলছে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি। তবে উন্নয়ন কাজে ধীরগতির ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।

যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়াই চলছে নর্দমা ও রাস্তা সংস্কার কাজ। আর অধিকাংশ রাস্তায় নর্দমার উন্নয়ন কাজ শেষ করে ঢালাই ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে।

তাছাড়া এসব কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী, সরঞ্জাম এবং নর্দমার আবর্জনা রাস্তায় ফেলে রাখা হচ্ছে। তাই বিঘ্নিত হচ্ছে পথচারী ও অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী যান চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির সঙ্গে রাস্তার মাটি জমে কর্দমাক্ত হয় সড়ক। উঁচু-নিচু সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে ডেমরা-মেরাদিয়া-বনশ্রী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকার কাজ শুরু হবে। পুরনো ড্রেনেজ ব্যবস্থার পরিবর্তে এখানে পরিকল্পিত নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। তবে অপরিকল্পিতভাবে ধীরগতিতে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এখানকার জনদুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছে।

ডেমরা-মেরাদিয়া-বনশ্রীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে দক্ষিণ বনশ্রীর প্রধান সড়কটিতে ১০ তলা মার্কেট এলাকার সড়কে চলছে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি। প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কটি মেরাদিয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে কে-ব্লক ১০ তলা মার্কেট এলাকা দিয়ে মাদারটেকে মিলেছে। ওই সড়কটির কাজ গত বছর শুরু হয়েছে। তবে ৫ মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে এ সড়কে কাজ চলছে। এদিকে প্রধান সড়ক বলে এটির ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। এদিকে মেরাদিয়ার মধুবন গলি থেকে আনসারবাগ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অপ্রশস্ত প্রধান সড়কের কাজ শুরু হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। পুরনো ড্রেনগুলো বর্জ্যে পরিপূর্ণ বলে সড়ক খুঁড়তেই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। এতে এ সড়কেও চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আরও দেখা গেছে, উত্তর মেরাদিয়ার জে-ব্লকে ৫ মাস আগে ৭-৮টি রাস্তার ড্রেনেজ কাজ শুরু হয়েছে। ওই কাজ শেষ করে ঢালাই বাদে ফেলে রাখা হয়েছে। একইভাবে ফেলে রাখা হয়েছে দক্ষিণ বনশ্রীর এল-ব্লকের ৭-৮টি রাস্তা, উত্তর বনশ্রীর জি-ব্লকে হলি ক্রিসেন্ট স্কুলসংলগ্ন বড় রাস্তা, মেরাদিয়ার আনসারবাগ গলি থেকে দক্ষিণ বনশ্রী এফ-ব্লকের প্রায় ১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, দক্ষিণ বনশ্রী ১০ তলার পেছনে প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার দুটি সড়ক। এসব সড়কে নর্দমা নির্মাণ ও ঢাকনা বসানোর কাজ শেষ হলেও ৪-৫ মাস ধরে ওই সব সড়কে ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে মেরাদিয়া-ভূঁইয়াপাড়া থেকে উত্তর বনশ্রী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার হলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি। দক্ষিণ বনশ্রীর জে-ব্লকের ১২/৪ নম্বর সড়কটিরও কাজ হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই এসব সড়কে পানি জমে থাকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডেমরা-মেরাদিয়া-বনশ্রীর অধিকাংশ রাস্তায় নর্দমা নির্মাণ ও ঢাকনা বসানোর কাজ সম্পন্ন হলেও ঢালাই হচ্ছে না। তার উপর রাস্তায় ছড়িয়ে আছে নির্মাণ সামগ্রী। এসব সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। তাছাড়া দিনের বেলা কোনো মতে হেঁটে চলাফেরা করা গেলেও রাতে এসব সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ রাতে লোডশেডিং চলাকালে এসব রাস্তায় হাঁটাচলায় হোঁচট খেতে হয়। এদিকে বৃষ্টি হলেই রাস্তা কর্দমাক্ত হয়।

এ বিষয়ে দক্ষিণ বনশ্রীর বি-৭৩ গলির রাশিয়া প্রবাসী বাসিন্দা মির্জা লতিফ কালের খবরকে  বলেন, ডিএসসিসির অপরিকল্পিত ধীরগতির উন্নয়ন কাজে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। দেশে আসার পরই দেখি খিলগাঁও ও বনশ্রী দুু’দিক দিয়েই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। কোথাও স্বাচ্ছন্দ্যে যাওয়ার উপায় নেই। নগরে এমন অপরিকল্পিত নিয়ম মেনে নেয়া যায় না। অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে রয়েছে এখানকার বাসিন্দারা, তাই দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় বাসিন্দা লায়ন এমএ কুদ্দুস কালের খবরকে  বলেন, এখানে কাজ শুরু হলেও সমাপ্তি নেই। নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি। উন্নয়ন অসমাপ্ত সড়কগুলোতে ফেলে রাখা হয়েছে নির্মাণ বর্জ্যসহ ড্রেনেজ বর্জ্য। অধিকাংশ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাচল বিঘিœত হলেও কর্তৃপক্ষের যেন দায়িত্ব নেই।

ডিএসসিসির (খিলগাঁও অঞ্চল-২) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. দিদার মোবাইল ফোনে কালের খবরকে  বলেন, রোজা ও কোরবানির ঈদে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে বলে কাজে কিছুটা দেরি হয়েছে। তাছাড়া এসব এলাকায় কোরবানির হাট বসায় যথাসময়ে রাস্তা খোঁড়ার কাজ ধরা যায়নি। তবে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে; যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। আর নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও পরিকল্পিত বলে কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com