সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জে মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর মাদারীপুরে ৩ দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন,খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছ। কালের খবর বিদ্যুৎ খাতের দুর্বৃত্তদের বিচার করতে হবে। কালের খবর মাদারীপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনে দুই পরিবারেরই আপত্তি। কালের খবর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শিকারমঙ্গল মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। কালের খবর “পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের যেকোনো অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে”-সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। কালের খবর সড়ক দূর্ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদল নেতা নিহত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে আওয়ামী ব্যবসায়ী নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মার্কেট ভাংচুরের অভিযোগ। কালের খবর নবীনগরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কালের খবর দুই হাজার নেতা কর্মী গণ সংবর্ধনা দিলো বিএনপি নেতা তজু মিয়াকে। কালের খবর
থানায় গৃহবধূর সঙ্গে ধর্ষণকারীর বিয়ে, পাবনার ওসি প্রত্যাহার। কালের খবর

থানায় গৃহবধূর সঙ্গে ধর্ষণকারীর বিয়ে, পাবনার ওসি প্রত্যাহার। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :

পাবনায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং থানায় তাদের একজনের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে দেয়ার ঘটনায় সদর থানার ওসি ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার ও এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়া এ ঘটনায় মামলার আরও দুই আসামিকে সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট চারজন গ্রেপ্তার হলো।

থানায় বিয়ে দেয়ার বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওসি ওবাইদুল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে থানায় মামলা নেয়া হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, তিন সন্তানের জননী ওই নারীর বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে। তার অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯শে আগস্ট তাকে তার বাড়িতে নিয়ে এক সহযোগিসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দু’দিন পর তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয় এবং সেখানে আরও ৪-৫ জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ওই নারী বাড়ি ফিরে স্বজনদের বিষয়টি জানালে গত ৫ই সেপ্টেম্বর তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নির্যাতিত গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে।

কিন্তু মামলা নথিভুক্ত না করে পুলিশ ওই রাতেই রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

গৃহবধূর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে অপহৃত হওয়ার কয়েক দিন পর তাকে খুঁজে পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। পরে তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে থানায় অভিযোগ দিই। কিন্তু পুলিশ আমার মেয়েকে থানা হেফাজতে রেখে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, পরে জানতে পারি থানায় রাসেলের সঙ্গে ওর বিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার মেয়ের তো স্বামী-সন্তান আছে। আমরা সামাজিকভাবে অপদস্থ হয়েছি।

দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দৌলত আলী জানান, সদর থানার উপ-পরিদর্শক একরামুল হক আমার উপস্থিতিতেই রাসেলকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে শুনি থানায় তাদের বিয়ে দিয়েছে। এটা তো কোনো নিয়মেই পড়ে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই পুলিশের এ ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

অভিযোগকারী ওই গৃহবধূ আরও জানান, রাসেলকে আটক করে থানায় আনার পর ওসি স্যার নিজেই কাজী ডেকে এনে সেখানে আমাদের বিয়ে দিয়েছেন।

আর রাসেল জানান, আমি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নই, আমাকে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে মামলা ও রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে জোর করে বিয়ে দিয়েছে, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। থানায় আমাদের বিয়ের সময় এসআই একরাম আমাদের ছবিও তুলেছে।

এ বিষয়ে ওই সময় এসআই একরাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমি এ নিয়ে কিছু বলব না। যা বলার ওসি স্যার বলবেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com