রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
পাবনা প্রতিনিধি, কালের খবর :
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের চরমধুপুর গ্রামে গত দুই দিনে সরকারি বিদ্যালয়সহ প্রায় ৬৫ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা শতাধিক পরিবার তাদের বাড়িঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা পানি কমার সঙ্গে নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার ভোর থেকে ইউনিয়নের চরমধুপুর গ্রামে পদ্মা নদীপাড়ের ১ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা চরমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিদ্যালয় চত্বরে থাকা শহীদ মিনারসহ আশপাশের ৬৫ বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। আকস্মিক এ ভাঙনে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
চরমধুপুর গ্রামের কৃষক মজির উদ্দিন বলেন, ‘রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নদী ভাঙতেছে। চোখের সামনে স্কুলটা নদীতে চলে গেল। ’ একই গ্রামের আহমদ আলী বলেন, ‘স্কুলটা সকাল ৬টার দিকে ভেঙে চলে গেল নদীর ভেতর। আমরা কোনোরকমে ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুলের আসবাব উদ্ধার করে রেখেছি। ’
এলাকার তালেব আলী বলেন, ‘রবি ও সোমবার ভাঙনে আমাদের চরটা প্রায় শেষের দিকে। দুই হাজার মানুষের বসবাসস্থল এই চরবাসীর জীবন রক্ষার জন্য সরকারি সহযোগিতা চাই। ’
চরমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আমেনা খাতুন বলে, ‘আমাদের স্কুলটা রবিবার সকালে সবার চোখের সামনে ভেঙে গেল।
এখন কোথায় আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা হবে স্যাররাও বলতে পারছেন না। ’
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত দুদিনের ভাঙনে কেবল স্কুল ভবনই নয়; শহীদ মিনার, টিউবওয়েলসহ পুরো স্কুল প্রাঙ্গণই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ’
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।