বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকতার হুমকি দেশের জন্য অকল্যাণকর। কালের খবর : মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত। কালের খবর রায়পুরায় ৩১ দফা গণতন্ত্রের সনদ : কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শ্যামল। কালের খবর খাগড়াছড়ি পাজেপ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ। কালের খবর নবীনগর-কড়ইকান্দি-আড়াইহাজার রাস্তাটি খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। কালের খবর বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর সুস্থতা কামনায় মসজিদে রাসুল (সা:) জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু। কালের খবর মাটিরাঙ্গা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বিদায় ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ। কালের খবর পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশন কতৃক বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড মহিলা দলের কাউন্সিল সম্পন্ন। কালের খবর
ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড : অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের বৃদ্ধা মমেনার | কালের খবর

ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড : অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের বৃদ্ধা মমেনার | কালের খবর

 ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন বৃদ্ধা মমেনা (ছবি- দৈনিক কালের খবর )

শেষ সময়ে কেউ পাশে নেই, ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, কালের খবর :

 বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা মমেনা বেওয়া (৬৫)। তবু তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। ৩০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে কোলেপিঠে বড় করেছেন দুই সন্তানকে। অনেক কষ্টে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরে ছেলে মমিনুল বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে আলাদা সংসার গড়েছেন। জীবনের শেষ দিন গুলোতে এসে একাই রয়ে গেলেন তিনি। এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নন্দিরকুটি গ্রামের প্রয়াত কপুর উদ্দিনের স্ত্রী মমেনার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছেলে মমিনুলের ঘরটি তালাবদ্ধ। পলিথিন দিয়ে ছোট একটি ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন ওই বৃদ্ধা। কাছে গেলে উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি। জানান নিজের কষ্টের কথা-, ‘মোর খোঁজখবর নিয়া কী হইবে বাবা। পায়ের রক্ত মুখোত (মুখে) তুলি কষ্ট করি বেটিক (মেয়ে) বিয়া দিছং। বেটা বউ নিয়া আলাদা খায়। বয়সকালে কাম কাজ করি ছওয়া (ছেলে) মানুষ করছং। নিজের প্যাটও চালাইছং। এ্যালা (এখন) মোর কাঁইয়ো (কেউ) খোঁজ-খবর নেয় না। মেম্বর চেয়ারম্যানরাও কিছু দেয় না।’

এদিকে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বয়সেও ভাতার আওতায় আসেননি তিনি। পাননি সরকারি কোনো সহায়তা। ঘর না থাকলেও পাননি সরকারি ঘরের বরাদ্দ।

প্রতিবেশী শহিদুল, নুরজাহান বেগম জানান, বৃষ্টির দিন খুব কষ্ট হয় তার (মমেনা)। মমেনা বেওয়া অতি দরিদ্র হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ভাতা ও সরকারি ঘর।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, নতুন ঘরের বরাদ্দ আসলে তাকে ঘর দেওয়া হবে। তিনি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com