রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
সরেজমিনে দেখা যায়, ছেলে মমিনুলের ঘরটি তালাবদ্ধ। পলিথিন দিয়ে ছোট একটি ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন ওই বৃদ্ধা। কাছে গেলে উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি। জানান নিজের কষ্টের কথা-, ‘মোর খোঁজখবর নিয়া কী হইবে বাবা। পায়ের রক্ত মুখোত (মুখে) তুলি কষ্ট করি বেটিক (মেয়ে) বিয়া দিছং। বেটা বউ নিয়া আলাদা খায়। বয়সকালে কাম কাজ করি ছওয়া (ছেলে) মানুষ করছং। নিজের প্যাটও চালাইছং। এ্যালা (এখন) মোর কাঁইয়ো (কেউ) খোঁজ-খবর নেয় না। মেম্বর চেয়ারম্যানরাও কিছু দেয় না।’
এদিকে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বয়সেও ভাতার আওতায় আসেননি তিনি। পাননি সরকারি কোনো সহায়তা। ঘর না থাকলেও পাননি সরকারি ঘরের বরাদ্দ।
প্রতিবেশী শহিদুল, নুরজাহান বেগম জানান, বৃষ্টির দিন খুব কষ্ট হয় তার (মমেনা)। মমেনা বেওয়া অতি দরিদ্র হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ভাতা ও সরকারি ঘর।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, নতুন ঘরের বরাদ্দ আসলে তাকে ঘর দেওয়া হবে। তিনি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।