শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
তাড়াইল কিশোরগঞ্জ থেকে ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ, কালের খবর : ভাঁটির শহর হিসাবে খ্যাত কিশোরগন্জ জেলা।এই জেলায় বহু ইতিহাস খ্যাত গুনিজন জন্মেছন। যাদের গুনের কথা এই ছোট আলোচনা লিখে শেষ করা যাবেনা।বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভাঁটির সারদুল জনাব, আবদুল হামিদ সাহেবের জন্ম এই জেলায়।নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। কিশোরগন্জের অন্যতম একটি উপজেলা তাড়াইল। এখানেও রয়েছে নরসুন্ধা, ফুলেশ্বরী, সূতী, বেতাই, নদী সহ অনেক নদী।প্রতিটি নদীরই রয়েছে তার আলাদা ঐতিয্য।আজ নদীগুলোর সেই বৈশিষ্ট্য কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।এক সময় বৃটিশদের ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পনি নরসুন্ধা নদী দিয়ে তাড়াইলে পাটের ব্যাবসা সহ অন্যন্য ব্যাবসা করার জন্য আসত।পরবর্তী সময়েইও বাংলাদেশের ব্যাবসা কেন্দ্রিক বিভিন্ন জায়গা থেকে লন্ঞ্চ, ষ্টীমার, কার্গো, ট্রলার সহ অসংখ্য নৌকা তাড়াইলে বানিজ্য করার জন্য আসত।তখন তাড়াইল হয়ে ওঠেছিল ব্যবসা বানিজ্যর কেন্দ্রস্থল।কিন্তু আজ নদীগুলো শুধুই ইতিহাস।কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে তাদের সত্ত্বা।এখন নদীগলোতে ঝাপিয়ে পড়েনা গ্রামের দুরন্ত বালক বালিকারা। স্নান করতে যায়না, খেলেনা তাদের বলাই খেলা।এখন দেখতে পাওয়া যায়না নববধুরা কলসি কাঙ্খে জল আনতে শীতল টলমলে পানিতে আত্নার তৃপ্তিতে গোসল করতে।বৌ ঝিয়েরা যায়না সেই দাঁড় টানা কেরায়া নৌকা দিয়ে নাইওড় করতে। মাঝি মাল্লারা গায়না সেই ভাঁটিয়ালী গান।বাতাসের তালে তালে নেচে ওঠেনা আজ নদীতে ঢেউ।সৃষ্টি হয়না কবি জসিম উদ্দিন,জীবনানন্দ,আল মাহমুদের মত কবিদের।সবিই যেন এক অদৃশ্য অশুভ শক্তির কাছে মাথা নত করে পরাজয় মেনে নিচ্ছে।বর্ষার বৃষ্টিতে পলি মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এসব নদীগুলি।কিছু অসাধু ব্যাক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দখল করে নিচ্ছে গড়ে তুলছে পাড়ে বসতি।বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগীতাও থেমে নেই। নরসুন্ধা,ফুলেশ্বরী,সূতি,বেতাই নদীতে এখন চড়ে বেড়ায় গবাদী পশু। শিশুরা খেলে ফুটবল,ক্রিকেট,লাফালাফি সহ নানা রকমের খেলাধুলা। “নদী একটি জীবন্ত সত্ত্ব “মহামান্য হাইকোর্টের রায়।দেশ বাচাও নদী বাচাও এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের স্ব উদ্দ্যেগে গত ২২শে ফেব্রুয়ারী তাড়াইল প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সাহিত্যক আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ছড়াকার ছাদেকুর রহমান রতনের সন্ঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন–তাড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি দেওয়ান ফারুক দাদ খান, রিভার বাংলা তাড়াইল উপজেলার আহবায়ক আফজাল এইচ আজম।সাংবাদিক মুকুট রন্জন দাস,ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ,হোসনে আরা,রুহুল আমিন,রানা,শাহআলম, ছাত্রলীহের উপজেলা আহবায়ক শামরুজ সহ কবি,সাহিত্যক, গবেষক ও স্হানীয় সুধী সমাজ বৃন্দ। তারা প্রেসক্লাবের আলোচনা শেষে উপজেলার সদর রোডে থানার সামনে মানবন্ধন করেন।এরপর দেশ বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনটি সামাজিক গনমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগালেও বাস্তবায়নের কোন নজীরই চোখে পড়েনি।এই নদীগুলিতে সরকারী উদ্দ্যেগে ড্রেজিং করা হলে নদীগুলি তার আগের যৌবন ফিরে পাবে ফিরে পাবে তার হারানো অতীত। উল্লেখ্য স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও নদীগুলোতে কোন রকম ড্রেজিং করা হয়নি।তাই সরকারের মহৎ চিন্তা চেতনায় তাড়াইল উপজেলা আবার হয়ে উঠবে নদী পথের ব্যাবসা বানিজ্যর কেন্দ্রস্হল এই কামনা সকল সর্ব সাধারনের।