সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন
মোঃ হাবিবুর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ, (ময়মনসিংহ), কালের খবর : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের চর রামমোহন গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অবৈধভাবে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় বসত বাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ফলে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে বাস্তুহারার মতো অসহায় জীবন-যাপন করছেন। অন্যদিকে শত শত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা সোমবার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন চররামমোহন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক নৌকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে বদরুল ইসলাম, শাফায়েত হোসেন, খোকন, এমদাদুল হক, সুরুজ মিয়া, ইমতিয়াজ, ইমরান, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় ও পাশ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলার বাঘাদারিয়া গ্রামের এমদাদ, আরিফ, রিফাত, আদিল, মিনহাজ, শফিকুল, শহীদ, লিটন নামীয় ব্যক্তিরা প্রতিদিন ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নেওয়ায় তাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা নিঃস্ব হয়ে নিরাপত্তাহীন জীবন-যাপন করছেন।
সোমবার এলাকাবাসীর পক্ষে বদরুল ইসলাম লিখিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও তাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনে অভিযুক্ত লিটনের সাথে কথা হলে, তিনি বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামের ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নৌকার মালিকরা বালু উত্তোলন করে আমাদের কাছে বিক্রি করছেন। তাদেরকে নিবৃত করতে পারলেই ভাঙন রোধ সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তারের সাথে কথা হলে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে, এতো কিছুর পরও তাদের বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলটি ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর ও ত্রিশাল উপজেলার সীমানাবর্তী হওয়ায় একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই সমন্বিত একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।