শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আড়াই বছরের শিশুপুত্র রাফিকে গলাটিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে মা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিদিয়েছেন মা ছেনোয়ারা বেগম।
জড়িত সন্দেহে শিশুটির মাকে আটক করে আদালতে হাজির করলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে।
কিন্তু কী কারণে শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে তা বলেনি মা ছানোয়ারা। তবে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে কেঁদে ফেলেন ঘাতক মা।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সবার প্রশ্ন, মা হয়ে সন্তানকে হত্যা করে কীভাবে?
নিহত রাফি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রূপসদী গ্রামের বাড়িয়াদহ বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে রাফির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার পরে শিশুটির মা ছেনোয়ারা বেগম অসুস্থতার ভান ধরলে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার সুস্থ করে তাকে থানায় নেয়া হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামে দক্ষিণ পাড়ায় বাবার বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন ফারুক মিয়ার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম। বুধবার ভোর ৫টার দিকে মায়ের সঙ্গে ঘর থেকে বের হয় রাফি। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার পরিবার। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামবাসী বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে বাড়িয়াদহ বিলের কচুরিপানার নিচে রাফির লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে তার নানা সাগর মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে রাফির লাশ সনাক্ত করেন।
এলাকাবাসীর ধারণা, ছেনোয়ারা হয়তো পরকীয়ায় জড়িত। তাই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুটির মা আদালতে নিজে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।