মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে জনমনে স্বস্তি। কালের খবর টেকনাফে পণ্য পাচার নিয়ে প্রতিবেদনে সাংবাদিক অপহরণের চেষ্টা, থানায় জিডি। কালের খবর এনএমআই-এর স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কালের খবর আগুন পুড়ছে সুন্দরবন, নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কালের খবর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক – শিপ্রা রানী দে। কালের খবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারুণ্যের অহংকার আবিদ হাসান রুবেল। কালের খবর কক্সবাজারে সাইফুল বাহিনীর প্রধান গ্রেপ্তার। কালের খবর তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর
ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড : অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের বৃদ্ধা মমেনার | কালের খবর

ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড : অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের বৃদ্ধা মমেনার | কালের খবর

 ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন বৃদ্ধা মমেনা (ছবি- দৈনিক কালের খবর )

শেষ সময়ে কেউ পাশে নেই, ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, কালের খবর :

 বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা মমেনা বেওয়া (৬৫)। তবু তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। ৩০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে কোলেপিঠে বড় করেছেন দুই সন্তানকে। অনেক কষ্টে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরে ছেলে মমিনুল বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে আলাদা সংসার গড়েছেন। জীবনের শেষ দিন গুলোতে এসে একাই রয়ে গেলেন তিনি। এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নন্দিরকুটি গ্রামের প্রয়াত কপুর উদ্দিনের স্ত্রী মমেনার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছেলে মমিনুলের ঘরটি তালাবদ্ধ। পলিথিন দিয়ে ছোট একটি ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন ওই বৃদ্ধা। কাছে গেলে উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি। জানান নিজের কষ্টের কথা-, ‘মোর খোঁজখবর নিয়া কী হইবে বাবা। পায়ের রক্ত মুখোত (মুখে) তুলি কষ্ট করি বেটিক (মেয়ে) বিয়া দিছং। বেটা বউ নিয়া আলাদা খায়। বয়সকালে কাম কাজ করি ছওয়া (ছেলে) মানুষ করছং। নিজের প্যাটও চালাইছং। এ্যালা (এখন) মোর কাঁইয়ো (কেউ) খোঁজ-খবর নেয় না। মেম্বর চেয়ারম্যানরাও কিছু দেয় না।’

এদিকে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বয়সেও ভাতার আওতায় আসেননি তিনি। পাননি সরকারি কোনো সহায়তা। ঘর না থাকলেও পাননি সরকারি ঘরের বরাদ্দ।

প্রতিবেশী শহিদুল, নুরজাহান বেগম জানান, বৃষ্টির দিন খুব কষ্ট হয় তার (মমেনা)। মমেনা বেওয়া অতি দরিদ্র হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ভাতা ও সরকারি ঘর।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, নতুন ঘরের বরাদ্দ আসলে তাকে ঘর দেওয়া হবে। তিনি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com