শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফ্যাসিস্ট আ.লীগের নেতা মোঃ কামরুল ইসলাম নান্টুর রাজধানী ঢাকায় আবাসিক হোটেলের নামে অবৈধ পতিতা, মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা। কালের খবর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে : আ ন ম শামসুল ইসলাম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে পৌর বিএনপি। কালের খবর অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর
মাদ্রাসা শিক্ষকের নৃশংসতায় ছাত্রের জীবন শেষ। কালের খবর

মাদ্রাসা শিক্ষকের নৃশংসতায় ছাত্রের জীবন শেষ। কালের খবর

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, কালের খবর  : পটুয়াখালীতে টাকা চুরির অভিযোগে এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শহরের হেতালিয়া বাঁধঘাট বায়তুল আহাদ আকন বাড়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার রাতে শিশু সুমন চৌকিদারকে (১৩) নৃশংসভাবে পেটান শিক্ষক আহসান উল্লাহ। গুরুতর অবস্থায় সুমনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুমনের মা মোসা. রেহেনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সুমনের মা জানান, অনেক কষ্টে সুমনকে হেতালিয়া বাঁধঘাট বায়তুল আহাদ আকন বাড়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আহসান উল্লাহর দুই হাজার টাকা খোয়া যায়। এ ঘটনায় তিনি সুমনকে সন্দেহ করে তার রুমে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করেন। সুমনকে পেটানোর এক পর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে লোহার রড এনে পুনরায় পেটানো শুরু করেন। এ সময় সুমন চিৎকার শুরু করলে শিক্ষক অন্য ছাত্রদের চেঁচিয়ে শব্দ করে পড়ার নির্দেশ দেন। সুমনের কান্নার শব্দ বাইরে যাওয়ার আশঙ্কায় তার মুখে কসটেপ লাগিয়ে তৃতীয় দফা পেটান। পিটুনি শেষে সুমনকে কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে শিক্ষক আহসান তার মৃত দাদীর জানাজায় অংশ নিতে সদর উপজেলায় আউলিয়াপুরে যায়।

ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরে সুমনের সহপাঠী ও ফুফাত ভাই আকাশ পালিয়ে সুমনের পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে সুমনের পরিবার সুমনকে উদ্ধার করতে আসলে শিক্ষকের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় সুমনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, সুমনের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত দাগ আছে। হাসপাতালের ডাক্তার সেলিম মাতব্বর জানান, সুমনের শরীরে মাংসের ভিতরেও অনেক আঘাত লেগেছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে।

শিশুটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে পটুয়াখালী হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com