বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কটিয়াদীর করগাঁও ইউনিয়নে এম পি নূর মোহাম্মদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর তিতাসের আ.লীগ নেতার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধাদের মানববন্ধন। কালের খবর কিশোরগঞ্জের দানাপাটুলী ইউনিয়নে জন অংশগ্রহণ মূলক বাজেট সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সোনামসজিদ সীমান্তে বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক। কালের খবর বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সুন্দরগঞ্জে মীরগঞ্জ শাখার জনতা ব্যাংক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে দোকান মালিক,গ্রাহকদের মানববন্ধন। কালের খবর মিশনে যাওয়া হলনা সেনা সদস্য সাইফুর রহমানের। কালের খবর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি,কিশোরগঞ্জে সেই বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা তাড়াশে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুস সালাম বি.এস.সি। কালের খবর
ঢাকা-৮ আসনে লড়াইয়ের ময়দানে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। কালের খবর

ঢাকা-৮ আসনে লড়াইয়ের ময়দানে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদক :

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান মন্ত্রী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর রমনা-মতিঝিল-পল্টন, শাহজাহানপুর ও শাহবাগ থানার অন্তর্ভুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, উচ্চ আদালত, মন্ত্রিপাড়া ও জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ফলে এ আসনের প্রার্থীরাও হেভিওয়েট মর্যাদায় অভিসিক্ত। বর্তমান সাংসদ রাশেদ খান মেনন নির্বাচন করবেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। তার প্রতিদ্ব›দ্বী মির্জা আব্বাস ভোট করবেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।
রাশেদ খান মেনন ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদে এ আসন থেকে নির্বাচন করেন। তখন তার প্রতিদ্ধন্দ্বী ছিলেন বিএনপির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। মেনন তখন সোহেলের চেয়ে ৩৩ হাজার ৯৮১ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুর্নীতির মামলায় জড়িয়ে সে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারান এ আসনের এমপি মির্জা আব্বাস। তার অবর্তমানে মনোনয়ন পান সোহেল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই আসন থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সাংসদ নির্বাচিত হন মেনন।
১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে (তৎকালীন ঢাকা-৬) আওয়ামী লীগের মোজাফফর হোসেন পল্টুকে হারিয়ে সাংসদ হন মির্জা আব্বাস। ১৯৯৬ সালের ১৫ জুন ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনেও আব্বাস জয়ী হন। তবে ওই বছর ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন তিনি। আর ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবের হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করে পুনরায় নির্বাচিত হন মির্জা আব্বাস।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান মির্জা আব্বাস। তার পক্ষে জোরালো ভূমিকা নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন তার সমর্থক নেতাকর্মীরা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ায় তার মনোনয়ন নিশ্চিত জেনেই মাঠে রয়েছে তার কর্মীবাহিনী।
টানা ২ বারের সাংসদ ১৪ দলীয় জোটের একটি দলের সভাপতি এবং মন্ত্রী থাকায় এ আসনটি এবারো মেননের জন্য বরাদ্দ থাকছে। এটা অনেকটাই নিশ্চিত। এ আসনের মধ্যেই রয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। যদিও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। টানা দুই মেয়াদ সাংসদ থাকায় নির্বাচনী এলাকায় অনেক উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছেন রাশেদ খান মেনন। তার নেয়া উন্নয়ন
প্রকল্পগুলো এখনো চলমান। মালিবাগ-মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার তার নির্বাচনী এলাকার সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প। নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট, পয়ঃনিষ্কাশন, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন তিনি। গত ১০ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তার। রাশেদ খান মেননের প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনেও তাকে মনোনয়ন দেবে জোট। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সবার সহযোগিতায় আগের চেয়েও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় এলাকায় মির্জা আব্বাসের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তার রয়েছে একটি বিশাল কর্মীবাহিনী। নির্বাচনে অংশ নিলে স্থানীয় হিসেবে তিনি বিশেষ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি তিনবার সাংসদ হওয়ার সুবাদে তার সময়ে করা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এখনো এলাকায় দৃশ্যমান। সাবেক সাংসদ, অবিভক্ত ঢাকা মহানগরীর মেয়র ও মন্ত্রী থাকায় তার করা উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও মানুষ মনে রাখবে বলে বিশ্বাস তার।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com