বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি শুন্য গড়াই , নলকূপ উঠছে না পানি। কালের খবর প্রচন্ড তাপদাহে ফসলের মাঠে মেঘনার কৃষাণীরা! কালের খবর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ, অনেকটাই ফাঁকা ঢাকার রাজপথ
রাজধানীতে হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অসহায় নগরবাসী ! নীরব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কালের খবর

রাজধানীতে হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অসহায় নগরবাসী ! নীরব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কালের খবর

 এম আই ফারুক আহমেদ , কালের খবর  : রাজধানীতে হিজড়াদের উৎপাত বেড়ে গেছে। নগরবাসী এদের কাছে অসহায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে নগরীর পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে অভিজাত আবাসিক এলাকাগুলোতে হিজড়া আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে হিজড়ারা। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি, মারামারিসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি তাদের হাতে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। তারা আবার সন্ত্রাসীদেরও আশ্রয় দিয়ে থাকে। হিজড়া হওয়ার কারণে এমনিতেই এরা সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পাচ্ছে। আর এ সুযোগে তারা আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরকেও পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে এদের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশান, ফার্মগেট, পরীবাগ ফুট ওভারব্রিজ, মহাখালী ফ্লাই ওভারের নিচে, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সংসদ ভবন এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধার নামলেই পতিতাবৃত্তিতে নেমে পড়ে। এদের অধিকাংশই হিজড়া। অনেক হিজড়া পতিতা, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকায়। বিশেষ করে রাতে পথচারীরা রেহাই পায় না তাদের হাত থেকে। ফুট ওভারব্রিজগুলোতে উঠলেই তাদের ডাকে সাড়া দিতে হবে, নইলে টানা-হেঁচড়া শুরু করে দেয়। হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। আগে মানুষ যা দিত, তা নিয়েই খুশি থাকত হিজড়ারা। কিন্তু এখন তাদের আচরণ বদলে গেছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে তারা। হিজড়াদের কেউ কেউ অভিযোগ করছে, রাজধানীতে অনেক ‘নকল’ হিজড়া আছে, যাদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিনা পরিশ্রমে অর্থ উপার্জন করা।
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ব্যবসায়ী খালেদ মোশারফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হিজড়াদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। পুলিশও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি, পেশায় পরিণত হয়েছে হিজড়াদের। আগে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হলে তারা টাকা তুলত। কিন্তু এখন তারা রাস্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, মারামারি, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েছে। নানা কায়দায় টাকা কামিয়ে হিজড়াদের অনেকেই বনে গেছে কোটিপতি। অনেক হিজড়া ছিনতাই কাজে জড়িত বলেও পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে এক বাসায় গত কয়দিন আগে হামলা করেছে ৭/৮ জনের হিজড়াদের একটি দল। তারা হঠাৎ বাসার গেটে হইচই শুরু করে। ওই বাসার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েটি দরজা খুলে দিলো। হুড়হুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়ল সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি পরা সাত-আটজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ওই মেয়েটির কাছে টাকা দাবি করল। তাও অল্প নয় ১০ হাজার টাকা। মেয়েটির চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে আসেন। টাকা দিতে না চাইলে তাদের ব্যাপক গালাগালি করতে থাকে হিজড়ারা। একপর্যায় বাধ্য হয়ে তাদের টাকা দিতে রাজি হলেন মেয়েটির মা। দুই হাজার টাকা এবং একটি নতুন শাড়িতে রফা-দফা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মহিলা জানান, যখন হিজড়ারা বাসায় প্রবেশ করে হইচই শুরু করল এবং ১০ হাজার টাকা ছাড়া যাবে না বলে চিৎকার করতে ছিল, তখন নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হচ্ছিল। পরবর্তীতে টাকা-পয়সা দিয়ে রক্ষা পেলেও এখনও আতঙ্ক কাটেনি।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)  মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, হিজড়াদের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ এলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি না। তবে কেউ যদি ভয়ঙ্কর ধরনের অপরাধ করে তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
দেখা গেছে, ট্রাফিক সংকেতে যানবাহন থামার পর হিজড়ারা সামনে এসে দাঁড়ালে যাত্রীদের কিছু করার থাকে না। তাদের সঙ্গে তর্ক করলে যাত্রীদের আরও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। গত মঙ্গলবার দেখা যায়, হিজড়াদের একটি দল বিজয় সরণি মোড়ের চতুর্দিকে সিগন্যাল পড়লেই দৌড়ে এসে যানবাহনে থাকা যাত্রীদের কাছে টাকা দাবি করছে, না দিলে যাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে।
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন বিমানবন্দর রেলস্টশনে যাবার পথে একদল হিজরা হামলা করে যাত্রীদের ওপর। তারা দল বেঁধে ট্রেনের বগিতে ওঠার পর তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা না দেয়াতে যাত্রীদের গালাগালি শুরু করে। এক পর্যায় যাত্রীদের গায়ে হাত তোলে। প্রায় আধা ঘণ্টা হিজড়াদের অত্যাচার ও গালাগালি শুনতে হয় যাত্রীদের। তারপর বিমানবন্দর স্টেশনে যাবার পর যাত্রীরা রেল পুলিশের কাছে অবিযোগ করেও কোনো ধরনের সহযোগিতা পায়নি। এ ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ট্রেন যাত্রীদের সহ্য করতে হচ্ছে। শুধু ট্রেনে নয়, বাসেও হিজড়াদের চাঁদাবাজি ও হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গত বুধবার মিরপুর-১২ থেকে মতিঝিল পথে চলাচলকারী একটি বাসে উঠে পড়ে দু’জন হিজড়া। প্রত্যেক যাত্রীর কাছে গিয়ে টাকা চাইতে থাকে। কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই গায়ে হাত দিচ্ছিল, আজেবাজে কথা বলছিল। তারা বাস থেকে নেমে যেতেই একাধিক যাত্রী বললেন, হিজড়াদের টাকা আদায় এখন রীতিমতো উৎপাতে পরিণত হয়েছে। হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের এখনই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এদিক থেকে ঢাকা তাদের সবচেয়ে পছন্দ। সদ্য জন্ম নেয়া কোনো শিশুর খবর পেলেই বাসাবাড়িতে চলে আসছে হিজড়ারা। তাদের দাবির পরিমাণ অর্থ না দিলে বিশৃঙ্খলা শুরু করে। উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনার খবর জানা যায়। এমনই একজন ভুক্তভোগী বাড্ডার বাসিন্দা তাহ্নিয়া সুলতানা বলেন, ‘বাচ্চার বয়স ২০ দিন না হতেই একদল হিজড়া এসে হাজির। হট্টগোল শুরু করে। ১০ হাজার টাকা না দিলে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করার হুমকি দেয়। পরে তিন হাজার টাকা দিয়ে রেহাই মেলে।’
কয়েক দিন আগে হিজড়াদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলেন, ‘অফিসের নারী সহকর্মীর সঙ্গে কাজে যাচ্ছিলাম। সায়েন্স ল্যাব পুলিশ বক্স মোড়ে রিকশার জট লাগতেই দুই হিজড়া দু’পাশে এসে দাঁড়িয়ে টাকা চাইল। নারী সহকর্মীর শরীরে হাত দিতে শুরু করলে ২০ টাকা দেই। কিন্তু তারা আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে।
তবে হিজড়ারা বলছে, তারা নিরুপায়, টাকা না তুললে তারা খাবে কি। তাদের আয়-রোজগারের কোনো সুযোগ নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। ইদানীং কিছু নকল হিজড়ার কথাও বলছে অনেকে, যারা মূলত পুরুষ কিন্তু হিজড়া সেজে টাকা আদায় করছে।
এদিকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে হিজড়াদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর হয়নি। গত বছর ১৯ মে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিতের সভাপতিত্বে সোস্যাল সেফটি নেটের এক বৈঠকে ২০১৬ সাল থেকে তাদের ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় নির্ধারণসহ তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে হিজড়াদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলা হয়, সরকার আরো বিশ্লেষণের পর নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। বৈঠকে হিজড়াদের উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে একমত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্তরূপ পায়নি বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর সর্বত্র রয়েছে এদের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন বাস কাউন্টারে তারা টাকা তুলছে। ঢাকার বনশ্রী, খিলগাঁও, মতিঝিল, উত্তরা, মোহাম্মপুর, আদাবর, গুলশান, বনানী, মহাখালী, ফকিরাপুল, আরামবাগ, লালবাগ, শান্তিনগর, মধুবাগ, মিরপুর, মধ্যবাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাগ করে হিজড়াদের চাঁদাবাজি চলছে।
একাধিক হিজড়া জানান, তারা নিজেদের মধ্যে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলেন। যেসব ভাষায় কথা বলা হয় তার মধ্যে কয়েকটি হলোÑ চাম দেখ (গাড়ির ভেতরে ভালোভাবে দেখ, কি-কি আছে)। পান্তির কাছে কি থাপ্পু (টাকাসহ আর কি-কি আছে)? উত্তরে তারা বলে, আক্কা থাপ্পা (অনেক টাকা)। তখন জিজ্ঞেস করা হয়- কুনকুন (মোবাইল ফোন) আছে কিনা? ঝান্নিমাসি (সোনার চেইন), গিয়ানি মাসি (ল্যাপটপ) আছে কিনা?
জানা গেছে, টঙ্গী শিল্পাঞ্চলে প্রায় দুই শতাধিক হিজড়া বসবাস করছে। তাদের একাধিক গ্রুপ রয়েছে। তুরাগ, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান থানা এলাকায় আছে অন্তত ২০টি গ্রুপ। দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ, কাঁঠালতলা, কোর্টবাড়ী, আজমপুর কাঁচাবাজার, কসাইবাড়ী, আশকোনা এলাকায় আছে ৪০টি গ্রুপ। একেকটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। গ্রুপগুলোর মধ্যে রাহেলা, স্বপ্না, কল্পনা হিজড়ার কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। রাহেলা হিজড়া থাকেন দক্ষিণখান। তার একটি পাঁচ তলা বাড়ি আছে। ওই বাড়িতে হিজড়ারা বসবাস করে।
তুরাগের কামারপাড়া, রাজাবাড়ী, ধউর, রানাভোলা, বাউনিয়া এলাকায় থাকে ১০টি গ্রুপ। তাদের গ্রুপ প্রধান হচ্ছেন কচি হিজড়া। সবাই তাকে গুরু মা বলে ডাকেন। তিনি কোটিপতি বনে গেছেন। তার আছে দুটি বাড়ি। মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আছে ১২টি হিজড়া গ্রুপ। একটি গ্রুপের প্রধান হচ্ছেন সুইটি। আদাবরে তার নামে আছে একটি বাড়ি।
খিলক্ষেত এলাকায় হিজড়াদের দলনেতা নাজমা হিজড়ার অধীনে রয়েছে ৪০ জন হিজড়া। ৩০ বছর আগে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া হয়েছে নাজমা। সে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বিভিন্ন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের কাছে তার সুদে দেয়া আছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় দুই লাখ টাকা। ফায়দাবাদ, খিলক্ষেত ও গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় তার ৩টি বাড়ি ছাড়াও একাধিক প্লট রয়েছে। বটতলা ক ১৮৩/৫নং মায়ের দোয়া নাজমা ভিলায় থাকেন নাজমা হিজড়া। এটি তার নিজের বাড়ি। খিলক্ষেত নামার বউরা এলাকায় আছে দুটি প্লট। ধলপুর এলাকার আবুল হিজড়ার দুটি বাড়ি আছে। গোলাপবাগ এলাকার ১৩/বি/১ নম্বর পাঁচ তলা ও ধলপুর লিচুবাগানে একটি চার তলা ভবনের মালিক তিনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com