শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ৯টি ধারা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সম্পাদক পরিষদ। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে সম্পাদক পরিষদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। দাবিগুলো হলো, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩, ৫৩ ধারা অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। এসব সংশোধনী বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে আনতে হবে। পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে কোনো সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোন ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেয়ার অনুমতি দেয়া যাবে কিন্তু কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থা বন্ধ করার অনুমতি দেয়া যাবে না। তারা শুধু তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকাতে পারবে যখন সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন ওই বিষয়বস্তু আটকে দেয়া উচিত, সে বিষয়ে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে।
কোনো সংবাদ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থা আটকে দেয়া বা জব্দ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের আগাম নির্দেশ নিতে হবে। সংবাদ মাধ্যমের পেশাজীবীদের সাংবাদিকতার দায়িত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথমেই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে এবং সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীদের কোনো অবস্থাতেই পরোয়ানা ছাড়া ও যাথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া আটক বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। সংবাদ মাধ্যমের পেশাজীবী দ্বারা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তার প্রাথমিক তদন্ত প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে করা উচিত। এই লক্ষ্যে প্রেস কাউন্সিলকে যথাযথভাবে শক্তিশালী করা যেতে পারে। সবশেষ দাবি হলো- এই সরকারের পাশ করা তথ্য অধিকার আইনকে দ্বার্থহীনভাবে ডিজিটাল নিরপত্তা আইনের ওপর প্রধান্য দেয়া উচিত। এই আইনে নাগরিক ও সংবাদমাধ্যামের জন্য যেসব স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চত করা হয়েছে, সেগুলোর সুরক্ষা অত্যাবশ্যক বলে মনে করে সসম্পাদক পরিষদ।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, নিউজ টুডের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান।