বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
এম আই ফারুক, কালের খবর :
বন্দ্ব নিরসন এবং সংগঠনের কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য তাবলিগ জামাতকে সরকার পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র জারি করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের তাবলিগ জামাত ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে গেছে। এ নিয়ে কাকরাইল মসজিদে তাদের মধ্যে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও।
এ অবস্থায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দেলোয়ারা বেগমের সই করা পরিপত্রটির প্রথম নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তাবলিগের দুটি পক্ষ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শক্রমে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানসহ দেশের সব মারকাজে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিন নিজেদের কার্যক্রম চালাবে। তবে কোনো পক্ষ চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে মারকাজ ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় কার্যক্রম চালাতে পারবে।
দ্বিতীয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তাবলিগের আদর্শ ও চিরাচরিত রীতিনীতি অনুযায়ী কোনো পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের লিখিত বা মৌখিক অপপ্রচার চালাবে না। তৃতীয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সব মসজিদে আগের মতো শান্তিপূর্ণভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সে লক্ষ্যে যেকোনো মসজিদে উভয় পক্ষের জামাতই যেতে পারবে। এতে কোনো পক্ষ কাউকে বাধা দেবে না। তবে একই সময়ে দুই পক্ষের দেশি ও বিদেশি জামাত একই মসজিদে অবস্থান করা যুক্তিসংগত হবে না।
চতুর্থ নির্দেশনায় আছে, উভয় পক্ষ তাদের ইজতেমা বা জোড় তাবলিগে দেশি-বিদেশি মুরব্বিদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। শেষ নির্দেশনায় মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনো এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।