বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০২:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কটিয়াদীর করগাঁও ইউনিয়নে এম পি নূর মোহাম্মদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর তিতাসের আ.লীগ নেতার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধাদের মানববন্ধন। কালের খবর কিশোরগঞ্জের দানাপাটুলী ইউনিয়নে জন অংশগ্রহণ মূলক বাজেট সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সোনামসজিদ সীমান্তে বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক। কালের খবর বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর সুন্দরগঞ্জে মীরগঞ্জ শাখার জনতা ব্যাংক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে দোকান মালিক,গ্রাহকদের মানববন্ধন। কালের খবর মিশনে যাওয়া হলনা সেনা সদস্য সাইফুর রহমানের। কালের খবর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি,কিশোরগঞ্জে সেই বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা তাড়াশে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুস সালাম বি.এস.সি। কালের খবর
কাকরাইল মারকাযে মারামারির নেপথ্যে মাওলানা সাদের চিঠি

কাকরাইল মারকাযে মারামারির নেপথ্যে মাওলানা সাদের চিঠি

কালের খবর : গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে তাবলীগের মারকার্য কাকরাঈল মসজিদে দুপক্ষের মারামারিতে নতুন করে সঙ্কট দেখা দিয়েছে দ্বীনী দাওয়াতের কাজে। বিষয়টি কোনোভাবেই ইতিবাচকভাবে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। মূলত এ উত্তেজনার নেপথ্যে কাজ করছে দিল্লির নেজামুদ্দীন মারকাযের মুরুব্বী মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর প্রেরিত একটি চিঠি।

গত শুক্রবার চিঠির নির্দেশ বাস্তাবয়ানের জন্য মাওলানা সাদের অনুসারীরা এলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কারণ আলেমদের বাধা সত্ত্বে মাওলানা সাদ পুরনো বিষয় থেকে সরে না এসে বরং নতুন করে দুজন সদস্যকে শুরায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন। যা তাবলীগের সাথী ও আলেমদের মধ্যে বাড়তি ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

গত ১৪ এপ্রিল দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশি সাথীদের জোড়। ৩ দিনব্যাপী চলা এ জোড়ে বাধা উপেক্ষা করেই অংশ নিয়েছেন কাকরাইলের আংশিক শুরা সদস্য ও সাধারণ অনেক সাথী।

দিল্লির নেজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী চলতি বছরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি। সাধারণ মুসল্লি ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের বাধার মুখে ঢাকার কাকরাইলে অবস্থান নিতে হয় তাকে। কাকরাইলের বসেই তিনি আগামী বছরের ইজতেমা ও নিযামুদ্দীন জোড়ের তারিখ ঠিক করেছিলেন।

২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দিল্লির নিজামুদ্দিনে বাংলাদেশিদের এ জোড় আবার নতুনভাবে শুরু হয়। ১৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী জোড় অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মাওলানা সাদ কান্দলভী তার দুই অনুসারী সাথীকে বাংলাদেশের তাবলিগ মারকাজ কাকরাইলের শুরার ফয়সাল হিসেবে শামিল করার আহবান জানিয়ে চিঠি লেখেন।

চিঠিতে মাওলানা সাদ বলেন, আল্লাহ রব্বুল আলামিনের মহান সত্ত্বার কাছে আশা রাখি, সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। দাওয়াতের উঁচু মেহনতে মশগুল আছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের এ সুন্দর মেহনত কবুল করুন এবং হেদায়েত আম হওয়ার মাধ্যম বানান। আল্লাহ তায়ালার দয়া ও মেহেরবানি, আপনারা নববি মেহনত চালিয়েছেন এবং জামাত আকারে বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছিয়েছেন। ‘আল্লাহ তাআলার এ দয়ার মূল্য এই হবে, এ কাজকে নববি আদর্শের ভিত্তিতে এবং সাহাবাদের জীবনের আলোকে করা। কেননা তারা সর্বযুগের নমুনা ও আদর্শ এবং এটাই হেদায়েত আম হওয়ার উপায়, যেমনটি প্রথম যুগে হয়েছে। এ কাজে যে পরিমাণ একিন আসবে আল্লাহ তায়ালা গায়েবিভাবে অকল্পণীয় সাহায্য করবেন। সুতারাং এ মেহনতে নিজেদের আত্মত্যাগ বাড়াতে হবে। কেননা ত্যাগই আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও তার কাছে কবুল হওয়ার মাধ্যম।’

চিঠিতে তিনি আরো বলেন, আল্লাহর রহমতে কাজ দিনদিন বাড়ছে এবং কাজের তাগাদাও বাড়ছে। আপনাদের শুরার কয়েকজন সাথী বিভিন্ন অসুবিধার কারণে মাশওয়ারায় উপস্থিত থাকতে পারছেন না। এই প্রয়োজন সামনে বেখে আপনাদের নিজামুদ্দিন আগমনের সময় মাশওয়ারার মাধ্যমে এই ফয়সালা হয়েছে যে, মাওলানা মোশারফ সাহেব এবং প্রফেসার ইউনুস সাহেবকেও কাকরাইল মজলিসে শুরার ফয়সাল হিসাবে শরিক করে নেবেন।

‘আল্লাহ তায়ালা এই মেহনতের দূরদৃষ্টি ও মৌলিকত্ব আমাদের সবাইকে দান করুন। আমীন । সবাই নামাজ পড়ে পড়ে দুয়া করুন, আল্লাহ মৃত্যু পর্যন্ত চলা সহজ করে দিন।’ ইতোপূর্বে একই প্রক্রিয়ায় নিজামুদ্দীনের মারকাজ বাংলাওয়ালি মসজিদ থেকে আসা চিঠির মাধ্যমে কাকরাইলের ৪ জন মুরুব্বিকে শুরার ফয়সাল নির্ধারণ করা হয়েছিল।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ওই চিঠির মাধ্যমে শুরার ফয়সাল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সদস্যরা হলেন মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা রবিউল হক, ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান সাহাবুদ্দিন নাসিম।

  .……… দৈনিক কালের খবর

সূত্র: আওয়ার ইসলাম

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com