কালের খবর ডেস্ক :
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যেকোন গণতান্ত্রিক রাষ্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেকোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপশি জনগণের অধিকার নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে বাংলাদেশের সংবিধানেও উল্লেখ রয়েছে। বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এ গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে আইনটির মুখোমুখি হচ্ছে। এমনকি তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। বিশ^ব্যাপী সরকারগুলি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পেশাদার সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কমীর্দের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম আইন প্রণয়ন করে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি থমাস জেফারসন বলেছিলেন- “একটি জ্ঞাত নির্বাচিত জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত”। জাতিসংঘের মানবধিকারের ১৯৪৮ ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে- যা ঐ ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ-১৯ এ অন্তর্ভূক্ত “প্রত্যেকেরই মতামতের ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে; বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ এবং যে কোনো উপায়ে ও রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে তথ্য ও মতামত সন্ধান, গ্রহণ ও জ্ঞাত করার স্বাধীনতা”। উক্ত অধিকারের আলোকে বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত “গ্লোবাল জার্নালিস্টস কাউন্সিল ইন বাংলাদেশ নামক একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক গণমাধ্যম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত ফাউন্ডেশনে গঠনতন্ত্র ও রেজলিউশন অনুযায়ী নিম্নলিখিত কর্মকান্ড সমূহ বাস্তবায়নে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে-বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপি সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের জীবনমান বিকাশ ঘটানো ও পেশাদরিত্বের চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতিসংঘ সনদ এবং অন্যান্য স্বীকৃত গণমাধ্যম সনদের আলোকে সাংবাদিকতায় পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ভূমিকা রাখছে।  নৈতিক সাংবাদিকতা চর্চা করার ক্ষেত্রে আপনি ও আপনার সহকর্মী উক্ত ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে সমন্বিত ও স্বতন্ত্রভাবে সুবিধাদি গ্রহণ করুন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রেস ফ্রিডম কেন্দ্রিক সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। সর্বোপরি, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আপনি অধিকতর উন্নত ও পেশাগত জীবনমান নিশ্চিত করতে পারবেন।  আপনি ফাউন্ডেশনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিক নির্দেশনা পাবেন। আপনি কর্মসংস্থান সৃষ্টির বহুমাত্রিক কৌশল বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে ঐ ফাউন্ডেশন ভূমিকা রাখবে। বিশেষতঃ পেশাদার সাংবাদিকদের যারা যোগ্য, দক্ষ ও একাডেমিকেলী সনদ প্রাপ্ত মেধাবী সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার পাবে।  বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম সংস্থার সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অনুশীলনের সময় অবাধ তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। যা আপনার পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।  আপনি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বীকৃতি স্বরূপ একটি প্রশংসা পত্র পাবেন। যা আপনার পেশাদার সাংবাদিকতার মাধ্যমে উক্ত ফাউন্ডেশনের মিডিয়া সেইজ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃতিটি প্রদান করা হবে। উক্ত মিডিয়া সেইজ অ্যাওয়ার্ডের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পেশাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধাই প্রাধান্য পাবে।  সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে একটি অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে। এটি সর্বদা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনামূলক তথ্যের বিভ্রান্তি নিরসনে ভূমিকা রাখবে,যা অবশ্যই আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভূ—রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অগ্রসর ভূমিকা রাখবে।  এছাড়াও উক্ত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশি—বিদেশী গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করছে। প্রতি মাসে গণমাধ্যম বিষয়ক আলোচনা সভা, গবেষণা প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশ, কর্মপত্র তৈরি ও প্রকাশ, কর্মশালা, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম, সাংবাদিকতা বিষয়ক মতামত ও জরিপ পরিচালনা করাসহ গণমাধ্যম সংগঠন হিসেবে ২০১৮ সালের পর থেকে অদ্যাবধিকর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।