বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
খাগড়াছড়িতে ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। কালের খবর জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাভাপতি নির্বাচিত হলেন নাসিক ২নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। কালের খবর নবীনগরে সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির আহবায়কের মতবিনিময়। কালের খবর বিদ্যুৎ খাতের দুর্বৃত্তদের বিচার করতে হবে। কালের খবর শতকোটি টাকার সাম্রাজ্য পটিয়ার নবাব ও মহব্বতের। কালের খবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী। কালের খবর মাদারীপুরের শিবচর সার্কেলের “সহকারী পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। কালের খবর পাসপোর্টের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ। কালের খবর আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন। কালের খবর মাদারীপুরের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা। কালের খবর
সড়ক মেরামতেও শিক্ষার্থীরা : রাজধানীর আগারগাঁও ৬০ ফিট সড়কের বড় বড় গর্ত ভ্যানে মাটি নিয়ে ভরাট করছে তারা। কালের খবর

সড়ক মেরামতেও শিক্ষার্থীরা : রাজধানীর আগারগাঁও ৬০ ফিট সড়কের বড় বড় গর্ত ভ্যানে মাটি নিয়ে ভরাট করছে তারা। কালের খবর

 

এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর, ঢাকা :

রাজধানীর আগারগাঁও ৬০ ফিট সড়কে বিশাল বড় বড় গর্ত। কোথাও পিচঢালাই আছে, কোথাও নেই। বৃষ্টি হলে পানি-কাদায় একাকার হয় সড়কটি। দিন দিন এসব খানাখন্দ বড় আকার ধারণ করছে। তাতে প্রায়ই উল্টে যাচ্ছে যানবাহন। আহত হচ্ছে যাত্রীরা। কাদা-পানিতে ছিটকে কাপড়-চোপড় নষ্ট হচ্ছে। এমন দুর্ভোগ নিয়েই মানুষ চলাচল করছে রাজধানীর আগারগাঁও ৬০ ফিট সড়কে। দীর্ঘদিন আগে এটি নির্মাণ করলেও আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। এবার সেই সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সেটি নিজ উদ্যোগে সংস্কার করছেন শিক্ষার্থীরা। বড় বড় গর্ত ঠিক করতে ভ্যান গাড়িতে করে মাটিও টানছেন তারা। সেই মাটি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করছেন। তাদের এমন মহত্ উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এই সড়কে চলাচলকারীরা।

দৈনিক কালের খবর পত্রিকার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের সামনে থেকে শুরু করে মিরপুর ২ নম্বর পর্যন্ত সড়কটির নাম ‘কামাল সরণি’ হলেও এলাকাবাসী ‘৬০ ফুট’ নামেই চেনেন। কারণ, সড়কটির প্রস্থ ৬০ ফুট। ১৯৯৫ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তৈরি করা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী এ রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের শেষ দিকে ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩.৬৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটির প্রতিটি লেন এখন দখলের কারণে কোথাও কোথাও ১০-১২ ফুটও হয়ে গেছে।

মিরপুর ২ নম্বর থেকে বাংলাদেশ বেতার পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমতলা থেকে মনিপুর পর্যন্ত পুরো সড়কেই প্রায় ৫০টির মতো বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। সড়কের পিচঢালাই উঠে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সড়ক। ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, লেগুনা ও অটোরিকশা বেশি চলে এই সড়কে। প্রায়ই দেখা যায়, রিকশা বা সিএনজির চাকা গর্তে ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী জানান, বেশির ভাগ সিএনজি বা অটোরিকশা ভাঙা সড়কের কারণে এদিকে ভাড়া নিয়ে আসতে চান না। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। কেউই মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে মেট্রোরেলের কারণে এই সড়কে অসংখ্য যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

ছাপড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, প্রায় সময় বাইক নিয়ে বের হলে মোটরসাইকেলের চাকা গর্তে আটকে যায়। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরো দ্বিগুণ হয়। এমন বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই এই সড়কে যানজট লেগে থাকে। মেট্রোরেল হওয়ায় এ সড়কে অনেক বেশি চাপ বেড়ে গেছে। এটি দ্রুত মেরামত করা দরকার।

শুধু সড়কে গর্ত আর যানজটেই নয়, এই সড়কের ওপরেই বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে উত্তর সিটি করপোরেশন। প্রায়ই দেখা যায়, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করার কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

এদিকে পুলিশ না থাকায় সেই সড়কে গাড়ির শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বড় বড় গর্তগুলো ভরাট করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। গলায় আইডি কার্ড ঝুলানো বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী মাটি ও সুরকি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, এই সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। গর্তগুলোতে গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য আমাদের কিছু শিক্ষার্থী সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে আর আমরা গর্তগুলো ভরাট করার চেষ্টা করছি।

শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাইকচালক নাহিদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যে কাজ করছে এ কাজ করার কথা ছিল জন প্রতিনিধিদের। কিন্তু দুর্ভাগ্য এতদিনেও এ সড়কটি সংস্কার হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের এ প্রয়াস আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। গর্তগুলো ভরাট করায় আমরা স্বাছন্দ্যে চলাচল করতে পারছি।

সড়কটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দুটি ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। আগারগাঁও অংশটি ২৮ নম্বর এবং মনিপুর অংশটুকু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। এ বিষয়ে জানার জন্য ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লাকে ফোন দিলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com