সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় ৩২ বিঘা জমির উপর নির্মিত দেশের অন্যতম পাইকারী মিতালী মার্কেটের সুনাম নষ্ট করার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। মার্কেটের ৪১ লক্ষাধিক টাকা আত্নসাত ও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বহিস্কৃত সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া মার্কেটের উন্নয়ন কাজসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। শুক্রবার(৫ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৩ টায় দোকানদার সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সমিতির কার্যাকরী সভাপতি আমির হোসেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমির হোসেন বলেন, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ড, জাল দলিল করে মার্কেটের জমি দখল ও মার্কেটের বিদ্যুৎ বিলের ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও উন্নয়ন খাতের ১০ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৭ টাকা আত্নসাত করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে গত ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ও সদস্য পদ থেকে জামান মিয়াকে বহিস্কার করে রেজিস্ট্রার্ড অব ট্রেড ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে অবগত করা হয়। পরে একই বছরের ১ মার্চ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হয়। তখন নতুন কমিটি বাতিল ও স্বপদে বহাল হওয়ার জন্য জামান মিয়া হাইকোর্টে রীট করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জে,বি,এম হাসান ও খায়রুল আলমের দ্বৈত বেঞ্চ জামান মিয়ার রীট ভিত্তিহীন উল্লেখ করে আদালতের সময় নষ্ট করায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তারপরও জামান মিয়া অপতৎপরতা বন্ধ না করে সমিতির সভাপতি ইয়াছিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও মার্কেটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। এতে মার্কেটের উন্নয়নে বিঘ্ন ও সমিতির কর্মকর্তাদের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।
অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে জামান মিয়ার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে তিনি সমিতির কোন সদস্য না হয়েও মার্কেটে এসে দোকানদারদের সঙ্গে অসদাচরণ ও বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জামান মিয়া বলেন আমাকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তারা যে কমিটি করেছে তার কোন আইনগত বৈধতা নেই। এটা মনগড়া পকেট কমিটি। এই কমিটির সভাপতি ইয়াছিন মিয়া ও অন্যরা মার্কেটের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমি এসবের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলা হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দোকানদার সমিতির সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস আহমেদ, যুগ্নসাধারণ সম্পাদক মীর মো. সিরাজদৌলা, আমিনুল হক রাজু, বাবুল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপন ও সহদপ্তর সম্পাদক খোকন মিয়া।