শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শারদীয় দুর্গাপূজা ও কমিউনিটি পুলিশ ডে পালনে সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ নাজমুল হক কামালকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সোমবার এ আদেশ দেন। নাজমুলকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামালকে বিভাগীয় নিয়মশৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড, অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন। বিধি মোতাবেক তিনি খোরাকি ভাতা অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন।
এর আগে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমানের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ওসির চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পায়। সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) নাছির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শামসুল হককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি করেন।
জানা গেছে, উভয় কমিটি শনিবার থেকে সরেজমিন তদন্ত শুরু করে চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে অবস্থিত হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জিএম (এডমিন), স্কয়ার ডেনিমস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তাফরিদ কটন মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে সহযোগিতা চেয়ে পৃথক তিনটি চিঠি লেখেন।
চিঠিতে শারদীয় দুর্গাপূজা ও কমিউনিটি পুলিশ ডে উপলক্ষ্যে উল্লিখিত তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে মোট সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়।
এ নিয়ে ১৪ অক্টোবর ‘শায়েস্তাগঞ্জে পূজা উদযাপন, সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ওসির’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরই সিলেট রেঞ্জ ডিআইজিসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করে।