সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
নয়ন আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের জগতলা (কৈজুরি-সোনাতনী)
খেয়াঘাট অবৈধ ভাবে ইজারা প্রদানের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালত শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন সহ দুই জনকে
শোকজ প্রদান করেছেন। সেই সাথে অভিযোগের আপত্তি শুনানিকাল পর্যন্ত ওই খেয়াঘাটের ইজারা কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। শোকজপ্রাপ্ত অপর ব্যক্তি হলেন, ভাটপাড়া গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে দ্বিতীয় দরদাতা সাইফুল ইসলাম মাঝি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সোহেল রানা এ শোকজ করেন। আদালত আগামী ২ কর্মদিবসের মধ্যে এ শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। গুপিয়াখালি গ্রামের মোজাহার আলী মোল্লার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক বাদী হয়ে অপর প্রকার মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং ১২৩/২০২৩ইং। শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার মো: আমিরুল মোমেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মক্কেল গুপিয়াখালি গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিক ২০১৭ সাল থেকে এ যাবতকাল পর্যন্ত সুনামের সাথে এ ঘাট পরিচালনা করে আসছেন। বাংলা ১৪৩০ সালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে গত ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ড্র করা হয়। তিনি ওইদিন বিজ্ঞপ্তির সকল শর্ত মেনে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দরপত্র দাখিল করে প্রথম দরদাতা বিবেচিত হয়। অপরদিকে ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাঝি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দরপত্র দাখিল করে দ্বিতীয় দরদাতা হিসাবে গণ্য হন। তারপরেও
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন দ্বিতীয় দরদাতার যোগসাজসে প্রথম দরদাতা আবু বক্কার সিদ্দিককে প্রকৃত পাটনী নয় বলে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতা সাইফুল ইসলাম মাঝিকে ঘাট ইজারা প্রদান করেন। এতে
সরকার ১ লাখ ৯০ হাজার ১ টাকা রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি আমার মক্কেল আবু বক্কার সিদ্দিকও আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে তিনি বাধ্য হয়ে
ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য গত ১২ এপ্রিল আদালতে এ মামলাটি দাখিল করেছেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ১৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি শেষে এ নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে এযাবতকাল পর্যন্ত সুনামের সাথে এ ঘাট পরিচালনা করে আসছি। আমার বাবা মোজাহার আলী মোল্লাও এ ঘাটের মাঝি ছিলেন। তারপরেও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন দ্বিতীয় দরদাতা সাইফুল ইসলামের যোগসাজসে মিথ্যা তদন্তের মাধ্যমে আমাকে বাদ দিয়ে গত ৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দরদাতাকে
ইজারা প্রদান করেছেন। এতে সরকার ১ লাখ ৯০ হাজার ১ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছেন।
অপরদিকে আমিও আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই এর সুবিচার প্রাপ্তির জন্য আমি গত ১২ এপ্রিল আদালতে এ মামলা দায়ের করেছি। বিচারক আমার মামলাটি আমলে নিয়ে ১৩ এপ্রিল শুনানি শেষে এ নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে মামলার প্রথম বিবাদী সাইফুল ইসলাম মাঝির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া য়ায়নি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, আমি এ বিষয়ে অফিসিয়ালি ভাবে আদালতের কোনো চিঠি হাতে পাইনি। পেলে অবশ্যই এর জবাব দেবো।