সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত আশিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে, কালের খবর : হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র মিশু হত্যার প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও ১ নং আসামি শিমুল ছাড়া বাকি আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার,এস,আই,মানিক সাহা বলেন,মামলার প্রধান আসামি শিমুল সহ তার একজন সহযোগীকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারার জবান বন্ধি রেকর্ড করা হয়েছে এখন পিএম,রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। তাছাড়া হত্যার রহস্য উদঘাটন ও বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি ।
এরইমধ্যে পলাতক থাকা মিশু হত্যা মামলার ৬ নং আসামি কুদরত আলীর বক্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আসামি কুদরত আলী মিশু হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করে নিজেকে নির্দোষ ও হরিতলা মেস্তুর বাড়ির এনাম বাহিনীর প্রধান এনামের প্রত্যক্ষ মদদে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এনাম বাহিনীর প্রধান এনামের নামে অস্র মামলা সহ ছোট বড় প্রায় ২৬ টি মামলা রয়েছে। তাছাড়া এলাকার অপরাধ জগতের সম্রাট এনামের পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী মহলের অর্থের যোগান।
এলাকার অসহায়দের বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে স্বল্প মূল্যে জমি কিনে কোম্পানির নামে দলিল করে দেওয়ার ব্যাপারে এনামের জুড়ি নেই। এলাকা ঘুরে জানা যায় এনাম বাহিনীর প্রধান এনাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে অসহায়ত্বের সুযোগে মানুষের সাথে চল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার পরামর্শ সহ সাজানো মামলা দিয়ে হাতিয়ে নেয় বড় অংকের টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনামের একাধিক আত্নীয় এ প্রতিবেদককে জানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধরুন এনাম একাধিকবার র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তার নামে অসংখ্য মামলা বিচারাধীন রয়েছে। খুন করা তার জন্য মামুলিক ব্যাপার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এনাম বাহিনীর প্রধান এনামের আছে নিজস্ব টর্চার সেল। নিকটস্থ রঘুনন্দন পাহাড়ের গভীর অরণ্যে মিডনাইট চলে তার কথিত টর্চার থেরাপি। তার এ টর্চার থেরাপি থেকে নাকি সাংবাদিক ও রেহাই পায়নি। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
গত ৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ছাতিয়াইন হাইস্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এনামের ইন্ধনে কতিপয় দুষ্কৃতকারীদের চুড়িকাঘাতে মাধবপুর মাওলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মিশু নিহত হয়। এ ব্যাপারে নিহত মিশুর মা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং,জি,আর,৫২৩/২২
হত্যা মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহত মিশুর মা তাসলিমা খাতুন বলেন, এনাম বাহিনীর প্রধান এনাম আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। আমিও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবন নিয়ে আতংকে আছি। তাছাড়া এ ব্যাপারে আমি মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। তিনি আরো বলেন,প্রশাসন ইচ্ছে করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব আসামি গ্রেফতার করতে পারে। আমার মনে হয় পুলিশ আসামি গ্রেফতারে গাফিলতি করছে তাই আমার জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি এনাম বাহিনীর বিরুদ্ধে ১২ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি সহ র্যাব ৯ এ অভিযোগ দাখিল করেছি।আশা করি র্যাব তাদের সুনাম অক্ষন্ন রাখতে সুবিচার করবে।