শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর
তাড়াশ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল ভাল থাকায় খিরা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কালের খবর

তাড়াশ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল ভাল থাকায় খিরা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : তাড়াশ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল ভাল থাকায় খিরা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুড়িয়া, দিয়ারপাড়া, তালম, নামো সিলেট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, আয়াস, বিয়াস ও রানী‌দিঘী গ্রামের মাঠের পর মাঠ ক্ষীরার আবাদ করা হয়েছে।

উপ‌জেলা কৃ‌ষি অফিসের তথ‌্য ম‌তে, চল‌তি বছ‌রে ৪৭০ হেক্টর জ‌মি‌তে ক্ষীরা চা‌ষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের চে‌য়ে ৩০ হেক্টর বেশি। ত‌বে এই লক্ষমাত্রা অতিক্রম কর‌বে।

তেঁতুলিয়া গ্রা‌মের কৃষক মোতালেব জানান, লাভ পাওয়ায় খিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। তার ম‌তো অনে‌কেই এখা‌নে ক্ষীরা চাষ কর‌ছেন। লাভ জনক হওয়ায় এলাকায় ক্ষিরা চাষের জন্য জমি লিজঙ পাওয়া যা‌চ্ছে না। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা বেশি লাভবান হচ্ছে।

রানী‌দিঘী গ্রা‌মের কৃষক গোলাম রব্বানী ব‌লেন, এ বছর এক বিঘা জ‌মি‌তে ক্ষিরার চাষ ক‌রে‌ছি। এতে খরচ হ‌য়ে‌ছে ২০ হাজার টাকার ম‌তো, সব কিছু ঠিক থাক‌লে এবং বাজার ভা‌লো থাক‌লে ৫০ থে‌কে ৬০ হাজার টাকার ক্ষীরা বি‌ক্রি কর‌তে পার‌বো।

ব্যাপক খিরা উৎপাদন হওয়ায় সুবা‌দে তাড়াশ উপজেলার দিঘুড়িয়া, রানীর হাট, কোহিত, বিনসাড়া, বারু হাঁসসহ কমবেশি ৮-১০টি গ্রামে প্রতি বছর গড়ে উঠে অস্থায়ী ক্ষীরা বিক্রির মৌসুমি হাট। সবচে‌য়ে বড় হাট‌টি ব‌সে দিঘুড়িয়া গ্রামে।

এসব হাটগুলো থে‌কে খিরার মৌসুমে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক এখানে এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়,ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, পাবনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুলাহ আল মামুন জানান, তাড়া‌শে ক্ষীরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। উপজেলার জমি ক্ষীরা চাষের উপ‌যোগী হওয়ায় দিন দিন ক্ষীরা চাষ বৃ‌দ্ধি পা‌চ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে ক্ষিরা চাষে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com