রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরা, কালের খবর :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সরকারি পশু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্পে এআই টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন আজিজুর রহমান ও জাকির। নিজস্ব প্যাডে সীল স্বাক্ষর করে কালিগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় পশুদের অপচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিয়ম তোয়াক্কা না করে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আস্থাশীল পরিচয় দিয়ে পশু দেহে মারাত্মক ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসা পত্রে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কেউ কিছু বললে সে সার্টিফিকেট ধারী বড় প্রকল্পে দায়িত্ব আছে পরিচয় দেয়। তার চিকিৎসা কখনো ভুল হয় না। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে অনান্য পশু চিকিৎসকদের কোণঠাসা করে রাখে।
ভুক্তভোগী জনৈক একজন নারী বলেন, সরকারি প্রকল্পে চাকরি করে জাকিরের কাছ থেকে গরু, ছাগলের চিকিৎসা করায়। সরকারি ডাক্তার পরিচয় দেয়। কিন্তু তিনি অনেক জায়গায় ভুল চিকিৎসায় গরু অসুস্থ হতে দেখেছি।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, উনি গরু অসুস্থ হলে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেয়। এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে গরুর সমস্যা হয় বললে। উনি জবাবে বলে সরকারি জেলা কর্মকর্তারা আমার চিকিৎসা জানে, তারা যেভাবে চিকিৎসা দিতে বলে সেইভাবে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দিই আমি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সংকর কুমার দে বলেন, তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার এখতিয়ার নেই, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী। তাদের এই ধরনের অপচিকিৎসা আমি অনুমতি দেয়নি এআই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির আমার নাম ভাঙিয়ে চলছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভেটোনারি রেজিস্টার্ডপ্রাপ্ত ছাড়া এন্টিবায়োটিক লেখার এখতিয়ার নেই। আজিজুর ও জাকির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলে প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এগুলো ভূয়া, তারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে চলে। তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিব।
অভিযুক্ত কালিগঞ্জে এআই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমি জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছে, আপনি যা খুশি করতে পারেন।
আরেক অভিযুক্ত জাকির বলেন, আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।
এভাবে অভিজ্ঞতাবিহীন অপচিকিৎসার কারণে কালিগঞ্জে পশুদের রোগব্যাধী বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে গরু, ছাগল মারা যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা এসকল অপচিকিৎসাদের বিরুদ্ধে কথা বলে ও কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছে।