রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৮০০ টাকায় নয়, ১০৫০ টাকা দিনমজুরি-বৈষম্যের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের গর্জন। কালের খবর দেবিদ্বারে জুলাই শহীদদের স্মরণে আব্দুল্লাহপুর ডাবল হোন্ডা ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচ অনুষ্ঠিত। কালের খবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ ডেমরা থানা বিএনপির নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম মানিকের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘সীমান্ত সড়ক’: সার্বভৌমত্ব, সমৃদ্ধি ও অর্থনীতির নয়া দিগন্ত। কালের খবর দেবিদ্বারে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা। কালের খবর ওয়াদুদ ভুঁইয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এসএসসি ২০২৫ জিপি এ-৫ কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। কালের খবর অজ্ঞাত হ্যাকার বাগেরহাটে সক্রিয়, পরিচিতদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি-থানায় সাধারণ ডায়েরি। কালের খবর মাত্র ৩ টাকা কমলো এলপিজির দাম: ভোক্তাদের কপালে স্বস্তি না হতাশা? কালের খবর “গণতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালাতে রক্তের দাগ বয়ে চলা আন্দোলন-চট্টগ্রামে বিএনপির শপথ”আমীর খসরু। কালের খবর দেবিদ্বারে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। কালের খবর
টানা সাত দিনের বৃষ্টিপাতে তাড়াশ উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত। কালের খবর

টানা সাত দিনের বৃষ্টিপাতে তাড়াশ উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : টানা ৭ দিনের বৃষ্টিপাতে তাড়াশ জনজীবন বিপর্যস্ত টানা সাত দিনব্যাপী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলায় জনজীবন। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কখনো হালকা, কখনো মাঝারি ও কখনো বা ভারি বৃষ্টিপাত হয়েই চলেছে। এতে নিচু এলাকার আমন চাষিরা রয়েছে দুশ্চিন্তায়। শ্রমজীবী ও দিনমজুরেরা পড়েছে বিপাকে। আবার কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক জনদুর্ভোগের। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রভাব পড়েছে।

জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাড়াশ ও সলঙ্গা নি¤œাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এতে নিচু জমিগুলোর আমন ধানের চারার ক্ষতি হবার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টিতে বেশি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে শ্রমজীবী, দিনমজুর ও দৈনিন্দিন কাজে বের হওয়া মানুষগুলো। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির কবলে পড়ে পশু-পাখি ও প্রাণিরাও রয়েছে মহাসঙ্কটে।

মান্নান নগর বাজারের পত্রিকা হকার জনাব আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে পত্রিকা ঠিকমত বিলি করতে পারছি না। উপজেলার অনেক এলাকায় পত্রিকা বিলি করা বন্ধ রয়েছে।

কয়েকজন পাঠক বলেন, আমরা সকালে আগে পত্রিকা পড়ি। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বিকাল গড়িয়ে গেলেও পত্রিকা হাতে পাচ্ছি না।

উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের হাসের খামারি সিরাজুল ইসলাম বলেন, যখন বৃষ্টি দরকার ছিল, তখন বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির পানির অভাবে এবার পাট জাগ দিতে নানা সমস্যায় পড়েছি। পাটের সমস্যা যেতে না যেতেই পানির অভাবে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়ি। পরে জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চারা রোপন করতে হয়। মাঝে মধ্যে হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি হলে আমনের অনেক উপকার হতো। কিন্তু যেভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে- তাতে আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গিয়ে ক্ষতি হতে পারে।

নওগাঁ ইউনিয়নে মহেশরৌহালী গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আলহাজ ও বিরলহালী গ্রামের রাজমিস্ত্রি এনজা বলেন, বৃষ্টিতে কোনো কাজ করতে পারছি না। ঘরে বসে অলস সময় পার করা ছাড়া এখন আর কোনো উপায় নেই। এতে প্রতিদিন আমরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় বঞ্চিত হচ্ছি।

পংরৌহালী গ্রামের কৃষক হামিদ ও হাফেজ মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণের গরু-ছাগল লালন-পালন করা মুসকিল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এমন অবস্থায় মাঠে গিয়ে গরু-ছাগলের খাবার (ঘাস) সংগ্রহ করতে পারছি না। আবার বাড়িতে থাকা হাস-মুরগি পালনেও মহিলারা বিপাকে আছে।

ভ্যানচালক আলামিন হোসেন, ও অটোরিক্সাচালক সিরাজুল ইসলাম ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মজনু মোল্যা বলেন, বৃষ্টির কারণে আজ কয়দিন ধরে ঠিকমত গাড়ি চালাতে পারছি না। বৃষ্টি কম দেখে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেই আবার মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক সময় বৃষ্টির পানিতে মাথা ভিজে জ্বর-কাঁসিসহ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়া লাগে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে যাত্রীও চলাচল করে কম। যেকারণে আমাদের কষ্টের শেষ নেই। আমরা দিন কামাই করি দিন খাই। এভাবে বৃষ্টি হলে আমাদের সংসার চালানো মুসকিল হয়ে পড়বে।

মাগুরা ইউনিয়নের হাকুড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আলমাছ ও শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। জমির কাজ না থাকলে ইট ভাটায় কাজ করি। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করি। এই টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে কোনো রকম বেঁচে থাকি। কিন্তু যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে আর দুই-চারদিন পর আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।

তাড়াশ, ও মহিষলুটি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, লাগাতার বৃষ্টি কারণে বাজারে ক্রেতারা আসছে কম। আমরাও ঠিকমত দোকান খুলতে পারছি না। তবে বেশি বিপদে আছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। তারা উম্মুক্ত স্থানে বসে বেচাকেনা করতে পারছে না।

উপজেলার কৃষি অফিসার বলেন, বৃষ্টির কারণে যেসব এলাকা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এসব পানি নেমে যাবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com