শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :
ক্রমান্বয়ে অশান্ত হয়ে উঠেছে যশোরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শুক্রবার মধ্যরাতে বিএনপির শীর্ষ চার নেতার বাড়িতে তান্ডবের পর প্রকাশ্যে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে তান্ডব, কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী তরিকুলপুত্র অমিতকে হত্যা চেষ্টা ও গাড়ি ভাংচুর ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যশোর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের মিছিল থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর শহরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতার ২৮ নেতাকর্মীকে রোববার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে আদালতে নেতাকর্মীদের দেখে আদালত থেকে ফেরার পথে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় হামলার শিকার হন তিনি ।
যশোরের বিভিন্নস্থানে রাজনেতিক সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গোটা জেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় পরস্পর বিরোধী অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে নরেন্দ্রপুর আওয়ামী লীগের পক্ষে থানায় মামলা করা হলে পুলিশ বিএনপির ২৮ নেতা কর্মীকে আটক করেছে। দিনভর পুলিশের নানামুখি একশান চোখে পড়েছে। ছত্রভঙ্গ করতে দেখা গেছে কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রস্তুতি।
এছাড়াও বাঘারপাড়া থেকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় আনা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকীকে। যশোরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে আগষ্ট ২৭ গভীর রাতে এবং ২৮ আগস্ট বিকেলে ফের হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৪ টায় পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলা হয়। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাসভবনের চারপাশ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলা চলাকালে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তার মা যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বাড়িতে ছিলেন। এর আগে দড়াটানায় অমিতের ওপর হামলা চালানো হয়। বিকেল চারটায় দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মাইক্রোবাসটি ভেঙে দেয়। ওইসময় তাদের হাতে হকিস্টিক, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, জি আই পাইপ ও রামদা ছিল বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। ভাংচুর করা হয়েছে শহরের লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ও।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানিয়েছেন, বিএনপির কোথাও সভা সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
যশোর কেতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সহিংসতা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোটা জেলায় অতিরিক্ত ফোর্স নিযুক্ত করা হয়েছে।