বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসবে বর্ণাঢ্য র‍্যালি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর মুন্সিগঞ্জে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত। । ‘এবার টার্গেটে সাংবাদিকদের সন্তানেরা’ চট্টগ্রামের মানববন্ধনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে হতদরিদ্রের লাখ লাখ টাকা নিয়ে এনজিও উধাও। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে ইউএনও’র মত বিনিময়। কালের খবর পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের ২২ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর ফ্যাসিস্ট আ.লীগের নেতা মোঃ কামরুল ইসলাম নান্টুর রাজধানী ঢাকায় আবাসিক হোটেলের নামে অবৈধ পতিতা, মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা। কালের খবর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে : আ ন ম শামসুল ইসলাম। কালের খবর
নড়বড়ে সাঁকোতে হাজারও মানুষের পারাপার। কালের খবর

নড়বড়ে সাঁকোতে হাজারও মানুষের পারাপার। কালের খবর

linkedin sharing button

রাজধানীর ডেমরায় বাঁশেরপুল এলাকায় ডিএনডি খালের উপর নির্মিত শেখ রাসেল নামে বাঁশের সাঁকোয় প্রতিদিন হাজারও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এদিকে নড়বড়ে ওই সাঁকোর দুপাশে কোনো রেলিং না থাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এক কিলোমিটার সড়কের যাতায়াত কমাতে এ সাঁকোটি ডিএসসিসির ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশসহ ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। তাই এখানকার সাঁকো সংশ্লিষ্ট অধিবাসীদের প্রাণের দাবি শেখ রাসেল সাঁকোর জায়গায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক। কারণ এ সাঁকোর সঙ্গে প্রায় মুখোমুখি জায়গা মিলিয়ে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ৬ লেন সড়কের ওভারপাসের মিল রাখা হয়েছে, যার নিচ দিয়ে মানুষ চলাফেরা করবে।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৫ বছর আগে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত শেখ রাসেল বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। তবে এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকমহল এ সাঁকোর নাম রাখেন শেখ রাসেল সাঁকো; যা পরবর্তীতে পাকা সেতু হবে এ আশায়।

এদিকে এ সাঁকোটি দিয়ে ডিএসসিসির ৬৪ নম্ববর ওয়ার্ডের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দক্ষিণ পাশ, বাঁশেরপুল হিজলতলা, খাঁন নগর ও আমিনবাগ এলাকাসহ ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের বামৈল, সালামবাগ, ইস্টার্ন হাউজিং উত্তর পাশ, ইসলামবাগ, ডগাইর নতুনপাড়া, ব্যাংক কলোনি ও ভূঁইয়া মসজিদসহ বেশ কয়েকটি এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় প্রতিদিন।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাঁশের সাঁকোটির দুই পাশে কোনো রেলিং নেই। সেটি উঁচু-নিচু অবস্থায় আছে। চলার সময়ও সাঁকোটি হেলেদুলে বলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকেই। তাছাড়া সাঁকোর অল্প নিচেই খালের পানি, সেই সঙ্গে কচুরিপানায় ভরপুর। রেলিং নেই বলে কোনো বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা সাঁকো পারাপারের সময় অসাবধানতা বশত যেকোনো সময় পা ফসকে পড়ে যেতে পারে খালে। শেখ রাসেল নামে বাঁশের এ সাকোঁ দীর্ঘ দিন ধরেই নড়বড়ে ও জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও এখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য নেই কোনো উদ্যোগ।

শেখ রাসেল সাঁকোর আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম কমান্ডার বলেন, হাজার হাজার মানুষের পারাপারের সুবিধার্থে বাঁশেরপুল ডিএনডি খালের উপর শহিদ শেখ রাসেল নামে আমরা বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করি। এটি পরবর্তীতে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের ওভারপাসের সঙ্গে শেখ রাসেল পাকা সেতু করার জন্য আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে লিখিত আবেদন করি। ইতোমধ্যে আমরা সড়ক জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর মাধ্যমে জানতে পারি সেতু বাস্তবায়ন করা হবে অতি শীঘ্রই।

ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের মাধ্যমে আগামী বাজেটে সেতুটি উদ্ধোধন হবে বলে তিনি জানান। এই সেতুটি হলে সহজে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে এই এলাকার।

এ বিষয়ে বামৈল সাদুর মাঠ এলাকার কাউসার নামে এক কলেজছাত্র বলেন, শেখ রাসেল সাঁকোটি নড়বড়ে ও দুর্বল হয়ে পড়ায় আমাদের এখানকার অধিবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হয়। এই সেতু দিয়ে পার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে অনেক বয়স্ক ও শিশুদের। পানিতে পড়েছে অনেকে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিবিএস একাডেমির স্কুল শিক্ষিকা শিউলি বেগম বলেন, আমার মেয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে একা পার হতে ভয় পায় বলে প্রতিদিনই আমাকে সঙ্গে আসতে হয়। সাঁকো পার হতে আমি নিজে ভয় পেলেও মেয়েকে বুঝতে দেই না। এর আগে সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় অনেক বয়স্ক ও ছোট বাচ্চারা দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল বলেন, সেতুটির ব্যাপারে এলাকার জনগণ যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়ে গিয়ে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের ওভারপাস বাঁশেরপুল ইস্টার্ন হাউজিং বরাবর শেখ রাসেল সেতুসহ বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ওভারপাসের অনুমোদন হয়। তবে সেতুটিও নির্মাণ করা হবে বলে জানতে পেরেছি। এখানে পাকা সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এলাকাবাসী যোগাযোগ করলে আমরা ওভারপাসটি বাঁশের সাঁকো বরাবর করেছি। এক্ষেত্রে সাঁকোর পরিবর্তে ডিএনডি খালের উপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য ওয়াসার অনুমোদনসহ পরবর্তী সব পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে; যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com