শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর
ডেমরাবাসীকে চলতে হয় আলো-আঁধারির খেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক নজরদারি নেই

ডেমরাবাসীকে চলতে হয় আলো-আঁধারির খেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক নজরদারি নেই

এম আই ফারুক, ডেমরা (ঢাকা)
রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন ওয়ার্ডগুলোতে নজরদারি না থাকায় সড়কে সড়কে বাতি বিড়ম্বনা। তাই রাতের আঁধারে নানা ভোগান্তিতে পথ চলতে হয় এখনাকার বাসিন্দাদের। ওয়ার্ডগুলোতে কোথাও রাত গভীর হলে কমতে থাকে সড়কবাতির আলো, আবার কোথাও জ্বলেই না। কোথাও কোথাও আবার দিনের বেলাতেও জ্বলতে দেখা যায় এসব বাতি, তা যেন নেভানোর কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সড়কবাতি মেরামত ও তদারকির জন্য স্থায়ী লোকবল নেই ডিএসসিসির। ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে স্থাপন করা এসব বাতির সমস্যা দেখা দিলে ডিএসসিসির সার্ভার রুমে অভিযোগ জানালে লোকজন এসে ঠিক করে দিয়ে যায়, তা অবশ্য অনেক সময়ের ব্যাপার। আবার প্রতিটি ওয়ার্ডের সড়কেই প্রচুর বাতির চাহিদা থাকলেও পূরণ করা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর চাহিদা জমা নেওয়া হলেও তাতে আলো জ্বলেনি এখনো।

জানা যায়, ডেমরা থানা এলাকাটি সাবেক মাতুয়াইল ইউনিয়নের কিছু অংশসহ সারুলিয়া ও ডেমরা ইউনিয়ন নিয়ে। পরবর্তীতে এ তিনটি ইউনিয়নকে ডিএসসিসির সঙ্গে নতুনভাবে ওয়ার্ড পর্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে। ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ এবং ৬৬ থেকে ৭০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এখন ডেমরা এলাকা। শিল্পাঞ্চলখ্যাত এই এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকে পর্যায়ক্রমে ঘনবসতি বাড়ছে। মূল শহরের খুব কাছের ডেমরায় বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভাড়াটিয়াসহ ১২ লক্ষাধিক মানুষের বাস। তবে ইউনিয়ন পর্যায়ে সড়ক উন্নয়নের সময় ওয়ার্ডগুলোতে বেশকিছু সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছিল, যা এখনো চলমান। একই সঙ্গে ওয়ার্ড পর্যায়ে বেশকিছু সৌরবিদ্যুৎসম্পন্ন সড়কবাতিও স্থাপন করা হয়েছে, যেগেুলোর বেশির ভাগই এখন নষ্ট। নেই কোনো তদারকিও। অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কের পাশে ও এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিএসসিসির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডগাইর, হাজী বাদশা মিয়া রোড, ভুট্টো চত্বর থেকে মিলন চত্বর, বাঁশেরপুল, ফার্মের মোড়, কোদালদোয়াসহ প্রতিটি এলাকার সড়কবাতি প্রায়ই নষ্ট থাকে। অভিযোগ দিলে তা ঠিক করতে সময় লেগে যায় এক সপ্তাহের বেশি। আবার বামৈল পূর্বপাড়া এলাকায় গত এক মাস ধরে দিনের বেলায় অন্তত ২০টি খুঁটিতে জ্বলে থাকে সড়কবাতি। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানীমহল এলাকার ঢাল থেকে সারুলিয়া বাজার পর্যন্ত অনেক সড়কবাতি জ্বলে না। কখনো ঠিক করলেও নিভু নিভু আলো ছড়ায়। ওয়ার্ডের বড়ভাঙ্গা মেট্রোপলিটন ক্রিয়েটিভ স্কুলের সামনে, সারুলিয়া নদিরপাড় এলাকায় অনেক দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে কয়েকটি সড়বাতি। ওই ওয়ার্ডের সৌরবাতিগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বামৈল পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা হারুন রশিদ বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত তিন দফা সংশ্লিষ্টদের সড়কবাতির সমস্যার কথা জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এখানে দিনের ২৪ ঘণ্টাই অনেক খুঁটিতে বাতি জ্বলে, কোথাও আবার একেবারেই জ্বলে না।’

৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশেরপুল, নুর মহলের গলি দিয়ে দক্ষিণের এলাকায়, কোনাপাড়া আবদুল বারিক মজুমদার (কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ) রোডের বাতিগুলো কিছুক্ষণ জ্বলে আবার কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড মাতুয়াইল মুসলিম নগর শহীদ অলি রোডে কিছু বাতি এক সপ্তাহ ধরে জ্বলছে না। ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালেব আলি মসজিদ রোড ও লালশাহ মাজার এলাকার বেশকিছু সড়কবাতি নষ্ট, যেগুলো কেউ ঠিক করতেও আসে না। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের ধিৎপুর, নলছাটা, ঠুলঠুলিয়া, তাম্বুরাবাদ, কায়েতপাড়া, মেন্দিপুর, শুন্নাটেংরা ও পাইটিসহ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে সড়কবাতি বিচ্ছিন্নভাবে নষ্ট হয়ে আছে। এসব বাতি সহজেই ঠিক করা হয় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন, সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ ও আতিকুর রহমান আতিক জানান, ডেমরায় সড়কবাতি সার্ভিসের ক্ষেত্রে স্থায়ী লোকবল নেই। ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে সার্বার রুমে ফোন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসে কাজ করে যায়।

ডিএসসিসির অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘দিনের বেলাও সড়কবাতি জ্বলে থাকে, বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই জানলাম। আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা নেব। আর সড়কবাতি মেরামতে ডিএসসিসির কাজ চলমান। এ ছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থায়ীভাবে লোক নিয়োগের বিষয়টি ও চাহিদার বাতিগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ব্যবস্থা নেবে নিশ্চয়ই।’

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com