বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলা চলন বিলের মধ্যে অবস্থিত। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে এ উপজেলার চলন বিলঞ্চলের লোকজন শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় । প্রতিবারের ন্যায় চলতি মাসে শীতের অনুভূতি লক্ষ করা যাচ্ছে । এ থেকে ভিড় জমছে গরম কাপড় সহ লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, এ উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। শীতের পরশ লাগতেই লেপ তোষক বানানোর ধুম পড়েছে পুরো এলাকায় । রাত শেষে ভোরে আলোর ফুটলেও ইতিমধ্যে উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের অনুভূতি শরীরে স্পর্ষ করতে শুরু করেছে। তাই ভিড় জমছে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে। অনেকের মতে, যুগের বিবর্তনে এখন কম্বলের চাহিদা বাড়লেও লেপ-তোষকের কদর কমেনি। ধুনকররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক তৈরীতে। সারা বছর টুকটাক কাজ করলেও শীতের মৌসুমে যেন হাফ ছাড়ার উপায় নেই তাদের।
এতে করে বুঝা যাচ্ছে , দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আগমনে নওগাঁ ঐতিহ্যবাহী হাটে বসেছে গরম কাপড়ের ভ্রাম্যমান দোকান । অপনদিকে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীত মৌসুম হিসাবে বিবেচিত হয়।
অত্র এলাকার লোকজন বলছেন, অনেক পরিবারের লোকজন তাদের আলমিরা ও বাস্কে ভর্তি রাখা লেপ-তোষক বের করে রোদে শুখানো-সহ মেরামত করছে। কারিগররা বলছেন, কিছুদিন পরে ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে। ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। এদিকে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান গুলোতে শীতের পুরাতন কাপড় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যাদের লেপ-তোষক কেনা বা বানানোর টাকা নেই তারা ভিড় জমাচ্ছে ওইসব দোকানে। সেখানে দেড় থেকে দুইশ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভালো মানের পুরানো কাপড়। কেউ আবার অল্প টাকায় পাতলা কম্বলও ক্রয় করছেন।
এই দৃশ্য শুধু নওগাঁর হাটে নয়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। তবে লেপ-তোষক বানানোর ক্ষেত্রে তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করছে এর খরচ। এ বছর বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ দুই থেকে তিনশ টাকা বেড়ে গেছে বলে জানান ক্রেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শীতের আগমনী বার্তার সাথে পাল্লা দিয়ে শীত নিবারণের উপকরণ লেপ-তোশক তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। কারণ প্রতিটি এলাকাতেই শীত জেগে বসার আগেই শীত নিবারণে ওই সব লেপ-তোষক তৈরীর দোকানে ভিড় করছে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। ইতোমধ্যে শীতের কারণে রাতে অনেকে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও পাতলা কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন।
মান্নান নগর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছালাম হোসেন জানান, এখানে লেপের পাশা-পাশি কম্বল ডেলিভারি দেয়ার জন্য তারা ব্যস্ত। সারা বছরের মধ্যে এই শীত মৌসুমেই তারা কাজের বেশি অর্ডার পান। ফলে এ সময় তাদের কাজ বেশি করতে হয়। এরপর এক মৌসুমের আয় দিয়েই তাদের পুরো বছর চলতে হয়।