মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে এমএম জামান, কালের খবর : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দোকানঘর ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দোকানঘর না ছাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক। গত পাঁচ মাস ধরে ভাড়া না দিয়ে উল্টে ওই ভাড়াটিয়া দোকানঘর মালিকের বিরুদ্ধে ফরিদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন।
স্থানীয় বোয়ালমারী বার্তা কার্যালয়ে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দোকানঘর মালিক আলেয়া জামান (৫০)। তিনি বোয়ালমারী পৌরসভার চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকার হাজি মো. আলীমুজ্জামানের স্ত্রী।
আলেয়া জামান জানান, চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত তার একটি বহুতল ভবনের নিচতলার ডানপাশের দু’টি দোকানঘর পাঁচ বছরের জন্য মো. শহিদুল আলমকে ২০১৪ সালের ১ মে ভাড়া দেন। শহিদুল আলম পৌরসভার আধারকোঠা গ্রামের সামচু মিয়ার ছেলে। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ঘর মালিকের প্রয়োজনের জন্য ওই দোকান ঘরটি ছেড়ে দিতে বললেও ভাড়াটিয়া শহিদুল আলম তাতে কর্নপাত করছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আলেয়া জামান আরো জানান, ওই ভাড়াটিয়া গত পাঁচ মাসের ত্রিশ হাজার টাকা ভাড়াও পরিশোধ করেছেন না। উপরন্তু ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১ মার্চ মালিক ও ভাড়াটিয়াপক্ষের মধ্যে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের জন্য এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. মোমিন খান, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. বিপ্লব মিয়া এবং ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সামাদ খান উপস্থিত ছিলেন। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় দোকানের ডিডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভাড়াটিয়া কোন দোকান খুঁজে না পাওয়ায় তাকে (শহিদুল আলম) সর্বোচ্চ ছয় মাসের সময় দেয়া হল। কিন্তু ওই ভাড়াটিয়া শহিদুল আলম সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ৬ অক্টোবর নিজে বাদি হয়ে ফরিদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নং আমলী আদালতে ঘর মালিক আলেয়া জামানের তিন ছেলে, তার স্ত্রী আলেয়া জামান এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের নামে দণ্ডবিধি ৪০৬/৪২০/১৪৩/৩২৩/৩৮০/৫০৬(বি)/৩৪ ধারায় মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে সালিশে উপস্থিত ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সামাদ খান বলেন, ভাড়াটিয়া শহিদুল আলম সালিশের সিদ্ধান্ত মানছেন না।