বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর
রাজবাড়ী পাংশার ভেল্লাবাড়ীয়া-বাঁশগ্রামের সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তি এলাকাবাসীর : এমপি জিল্লুল হাকিম। কালের খবর

রাজবাড়ী পাংশার ভেল্লাবাড়ীয়া-বাঁশগ্রামের সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তি এলাকাবাসীর : এমপি জিল্লুল হাকিম। কালের খবর

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, কালের খবর :

রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার ০৩ নং যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়ীয়া-বাঁশগ্রামের ২হাজার ৪শ মিটার রাস্তা এলাকাবাসীর জন্য যেনো অভিশাপ!
উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও এখনো উপজেলায় কাঁচা রয়ে গেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আর এ কাঁচা রাস্তাগুলো এখন ওই এলাকার গ্রামবাসীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাগুলো পানি-কাদায় একাকার হয়ে যায়। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় ওইসব গ্রামের হাজারো মানুষের। জুতা হাতে জল-কাদা মাখা শরীরে চলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ ।
প্রতিবছর বর্ষার সময় এই কাঁচা সড়কটি কাদায় সয়ালাব হয়ে যায়। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৩-৪ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মাছপাড়া ইউনিয়নের। এখানেই শেষ নয় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচল।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শুধুমাত্র যাতায়াতের কারণে এই গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ের বিয়ে হচ্ছেনা।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় মানুষের অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসা নিতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা কাদায় ভরে যায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমন কি হেঁটেও চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে । গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির সময় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার শুকনো মৌসুমেও রাস্তায় ধুলোর কারণে কাশিসহ অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
তারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ৩/৪ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত অথচ রাস্তাটি অভিভাবকহীন। গ্রামে কোন লোক অসুস্থ্য হলে তাকে দুইজন লোকে ধরে বহন করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। কারণ অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এমন কি গ্রামে কেউ যদি মারা যায় তার দাফনের কাজ সম্পূর্ণ করতে বেশ কষ্ট ভোগ করতে হয়।
ভেল্লাবাড়িয়া, বাশগ্রাম, শাকদাহ এই তিন গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামত করতে। কিন্তু কেউ আমলে নিচ্ছেন না। তাছাড়া গ্রামের উৎপাদিত কৃষিপণ্যগুলো রাস্তা খারাপের জন্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। এতে করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে মারাত্মক ধস নামছে। কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারীরা মূলধন হারিয়ে পুনরায় চাষাবাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
স্থানীয় অধিবাসী মোঃ কাওছার মিয়া নামে এক যুবক বলেন, রাস্তাটি এতই খারাপ যে, এই গ্রাম থেকে কেউ বিয়েশাদীর মত সম্পর্ক অন্য এলাকার মানুষ করতে চাইনা। রাস্তার বেহালদশার কারণে মূমুর্ষ রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। প্রায় সময়ই লক্ষ্য করা যায় হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই রোগী পথেই মারা যাচ্ছে।
তাছাড়া স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া গ্রামের বহু শিক্ষার্থী রয়েছে। পরীক্ষা কিংবা ক্লাসে যোগদান করতে বাড়ি থেকে স্কুল কলেজে যেতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে তারাও প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এমতবস্থায় এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। এমপি জিল্লুল হাকিম ও যশাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান মন্ডললের নিকট আকুল আবেদন পাকা রাস্তা যদি নাও হয় ইটের সলিং দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তাটি করার জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ০৩ নং যশাই ইউপির চেয়ারম্যান জনাব অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ কালে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই রাস্তার কাজের জন্য অনেকবার বরাদ্দ দিয়েছি, আমার সেই বরাদ্দগুলি এমপি জিল্লুল হাকিম মহোদয় বার বারই কেটে দিয়েছেন, আমাকে এই রাস্তার কাজ করতে দেন্নাই, তিনি বলেছেন, এই রাস্তা নিয়ে তোমার এত মাথা ব্যাথা করবার দরকার নেই, ঐরাস্তাটা আমার নলেজে আছে, ওটা আমি আমার নামে করবো, ঐ রাস্তার নাম করন করা হবে, এমপি জিল্লুল হাকিম সরক, যার কানে ঐ রাস্তাটির কাজ আমি করতে পারিনাই। তবুও আমি ঐ রাস্তাটির কাজ করতে চেয়েছিলাম, হয়তো এতো দীনে রাস্তাটি হয়েও যেতো, এরই মাঝে মিথ্যে সাজানো একটি মামলার কারনে আমাকে আমার পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করাহলো, সেখানে আমার পদ পুনরায় আবার ফিরে পেতে আমার প্রায় ২ টা বছর লেগে গেলো, তো আমি এলাকা বাসির সেবাটা করবো কিভাবে? তবুও এই রাস্তাটির আইডি করতে আমি সক্ষম হয়েছি। আশাকরছি ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমি চেয়ারম্যান হোইবা না হোই, আমি এলাকা বাসীর কথা দিচ্ছি, যদি আমার নিজের পকেট থেকেও টাকা দিয়ে এই রাস্তার কাজ করতে হয় তবুও এই রাস্তার কাজ আমি করবো, এটা আমার এলাকা বাসীর জন্য আমি করবো।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com