শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর
পীরগঞ্জে প্রতিবন্ধি ভাতা আত্মসাৎ নয়, এটি ছিল দাপ্তরিক তথ্যগত ভুল। কালের খবর

পীরগঞ্জে প্রতিবন্ধি ভাতা আত্মসাৎ নয়, এটি ছিল দাপ্তরিক তথ্যগত ভুল। কালের খবর

এন এন রানা, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি, কালের খবর : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধি মহিলার ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটির সত্যতা মেলেনি। মূলত এটি ছিল দাপ্তরিক ভুলের ফসল। এই ভুলের বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি মহল ঘোলাজলে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন।
জানা যায় পৌরশহরের রঘুনাথপুর মৌজার শারিরিক প্রতিবন্ধি ফাতেমা বেগম স্বামী মৃত মজিবর রহমান এর প্রতিবন্ধি ভাতা জুলাই/২০ থেকে চালু হয়। এই ভাতা পৌরসভার পক্ষে তালিকাভুক্ত করান মহিলা কাউন্সিলর মোছা. সাহেবা বেগম। ভাতা চালুর প্রাক্কালে সাহেবা বেগম বা সংশ্লিষ্ট যে কেউ ভাতাভোগীর মোবাইল নম্বরের স্থলে কাউন্সিলরের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন ফলে ভাতা’র ১ম কিস্তির ৪৫০০ টাকা কাউন্সিলরের নাম্বারে সেন্ট হয়ে যায়। ১ম কিস্তির টাকা না পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্টরা আগের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে ভাতাভোগীর প্রকৃত মোবাইল নাম্বার অন্তভুক্ত করেন ফলে এপ্রিল টু জুন এবং অক্টোবর টু ডিসেম্বর/২০ ভাতা’র ৪৫শ’৩০ টাকা ভাতাভোগীর মোবাইল নাম্বারে ঢোকে। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধি ফাতেমা তার ১ম কিিিস্তর টাকা উদ্ধারের জন্য পৌর মেয়র মো: ইকরামুল হক বরাবরে ১২ আগষ্ট লিখিত আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে রক্ষিত প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, টাকাটা ০১৭৯৭৯৩৭০০৪ নম্বরে গত ৩১.০৫.২১ ইং তারিখে সেন্ড হয়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষদের সহায়তায় ভাতা আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসেন দায়িত্বশীলরা। পরে বিষয়টি সমাজসেবা কতৃপক্ষ বিকাস সহ উর্দ্ধতন দপ্তরে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, টাকা সেন্ড হওয়া নাম্বারটির বিকাশ খোলা না থাকায় ১ম কিস্তির টাকা ফেরত হয়েছে। সমাজসেবা বিভাগের ১৯ আগষ্ট দেয়, পে রোল রিকন্সিলিয়েশন প্রতিবেদনে দেখা যায় ভাতাভোগী ফাতেমা বেগমের দেয় মোবাইল নাম্বার ইনভেলিড হওয়ায় কেন্দ্রীয় আইবাস এটিকে রিটার্নাড বা ফেরত রিপোর্ট দেখিয়েছে। অর্থাৎ এই টাকা আত্নসাৎ হয়নি বা কারো নাম্বারে ঢোকেনি বরং তা এখনো ঝুলন্ত রয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এসএম রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, ভুল হতেই পারে তবে আমি আশা করছি, খুব শিগগীরই ভাতাভোগীর একাউন্টে এই টাকা পেমেন্ট হয়ে যাবে। তাই বিষয়টি দাপ্তরিক ভুল বা তথ্যগত ভুল হিসেবে চিহিৃত হয়েছে।
এ ব্যাপরে পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক বলেন, টাকাটা প্রকৃত ভাতাভোগী এখনো পায়নি, তবে যে বা যারাই এ ঘটনার জন্য দায়ি আমি তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই।

 

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com