বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি, কালের খবর :
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপিসহ একাধিকবার মন্ত্রীরা সরেজমিন এই এলাকা পরিদর্শন করেন। বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান বিষয়টি জাতীয় সংসদে বিষয়টি উপস্থাপন করেন। বাঁধের ব্লক রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একাধিকবার মানববন্ধন এবং ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নানা কর্মসূচিও পালন করেছেন। কিন্তু শুধু আশ্বাস ছাড়া মেলেনি কিছুই। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে বাঁধের ব্লক রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের কথায় এখন আর কেউ আশস্ত হতে পারেছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালের ২০ মে আইলা, এরপর মহাসেন, ফনী ও ইয়াসের পর কোনো ভেঙে যাওয়া রক্ষা বাঁধ স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে ২০১১ সালে আরো ব্লক তৈরি করে বাঁশ, বালু ও বস্তার চট রেখে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই ঠিকাদারের আর খোঁজ নেই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্রমে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্লক ধসে জোয়ারে লবণাক্ত পানি ঢুকে গাছপালা বিশেষ করে ফলদ বৃক্ষের পাতাগুলো পুড়ে আঙ্গার হয়ে গেছে। এখানকার মানুষ পারছে না ফসল ফলাতে। বর্ষা মৌসুমে বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের প্রায়ই অভুক্ত দিন কাটাতে হয়। পৌর শহরের কালি মন্দির এলাকার ভুক্তভোগী নেপাল কৃষ্ণ কুন্ড এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ব্লক রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন।
বেতাগী পৌরসভার মেয়র এ বি এম গোলাম কবির বলেন, নানা জটিলতায় বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি আটকে ছিল। ইতোমধ্যে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহর রক্ষা বাঁধের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন। আমি আশা করি শিগগিরই এ প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন পাবে এবং আমরা কাজ শুরু করতে পারব।
বেতাগী শহররক্ষা বাঁধের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য আমরা একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ওই প্রকল্পে বেতাগী শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রকল্প অনুমোদন পেলে বেতাগী শহররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করব। তিনি আরো বলেন, জেলার চারটি ভাঙনকবলিত স্থানকে একটি প্রকল্পের আওতায় এনে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি গত জুন মাসে মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। কামাল হোসেন খান বেতাগী (বরগুনা)