বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ১০ জন সাংবাদিকদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ জাটকা ব্যবসায়িরা মামলা করেন। মামলা নং-৮৬, তাং- ২৩/০৪/২০২১। মামলায় আসামীরা হলেনঃ সানী, নিবিড়, অনিক, হাসান, রিপন, আবুল, নুরু, জাকির, নীরব, ইব্রাহিম ও শামিম।
মামলার আসামী হাসান জানান,এই অবৈধ জাটকা বিক্রি এবং সংরক্ষণকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুইবার RAB 10 এর অভিযান পরিচালনা সহ প্রায় সময় মৎস্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার কারণে জাটকা ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রাবাড়ী থানার সহায়তায় আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এই মামলার আসামি করা হয়।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়তে যারা অবৈধ জাটকা ব্যবসায় জড়িত ছিল তারা মোটা অংকের মাসোহারা দিত এই যাত্রাবাড়ী থানায়। সেই সুবাধে জাটকা ব্যবসায়ীরা মামলা করতে সাহস পায়।এই অবৈধ জাটকা ব্যবসায়ীদের থানা পুলিশের সহায়তার পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোকজন সহায়তা করে আসত। তাদের সাথে কিছু নামধারী ভূয়া সাংবাদিকও জড়িত। অথচ ভূয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা না করে যারা প্রকৃত মূলধারার সাংবাদিক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অবৈধ জাটকা ব্যবসায়ীরা।যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।গত ২১/০৪/২০২১ ইংরেজি তারিখে ভোর আনুমানিক ০৭:০০টার দিকে যাত্রাবাড়ির ফ্লাইওভারের উপরে কিছু যুবক যারা যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিয় দান কারী কাভারভ্যান থেকে কয়েক ড্রাম জাটকা ইলিশ মাছ আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক মিলে তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়জিত থেকে জাটকা ইলিশ মাছের ফুটেজ ধারণ করেন। সাংবাদিকদের দেখে যুবকরা সাংবাদিকদের হুমকি ও বাঁধা প্রদান করেন। যুবলীগ পরিচয় দানকারী অবৈধ জাটকার ড্রাম সহ নিয়ে পালিয়ে যায়। আড়তের কিছু জাটকা ব্যবসায়ি ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে। জাটকা লুটপাটকারী যুবকদের না পেয়ে সাংবাদিকদের আটক করতে চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অনিক নামের এক সাংবাদিককে আটকিয়ে তার মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা চিনিয়ে নিয়ে যায় শেষে তাকে মারধর করেন জাটকা ব্যবসায়িরা এবং জাটকা লুটপাটের জন্য দায়ী করেন সাংবাদিকদের। সাংবাদিক অনিকের মারধরের ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে।
জানা গেছে ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া ব্যক্তির মটর সাইকেল, মোবাইলসহ কিছু টাকা অবৈধ জাটকা ব্যবসায়িরা নিয়ে যায়, যা এখনো তাকে ফেরত দেয়া হয়নি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশিদ মুন্নার ছোট ভাই পরিচয়ে শওকত হোসেন ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে আপোষ-মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। অভিযুক্তরা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত না করায় মিমাংসার চেষ্টা বিফল হওয়ায় জাটকা ব্যবসায়িরা থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত আসামীরা বিভিন্ন সাপ্তাহিক, দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে অসাধু ব্যবসায়িরা আড়তে জাটকা ও সরকারী নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি করে আসছে। আর এতে সহায়তা করে আসছে স্থানীয় যুবলীগের লোকজন ও যাত্রাবাড়ী থানার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা।। বিভিন্ন সময় র্যাব এই আড়ত থেকে অভিযান চালিয়ে অনেককেই জেল ও জরিমানা দিয়েছেন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক হাসান মৎস্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার কারণে আজকে এই মামলার আসামি।