শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর
করোনায় অভাব-অনটনে থাকা মানুষগুলোর পাশে দাড়িঁয়েছে যারা। কালের খবর

করোনায় অভাব-অনটনে থাকা মানুষগুলোর পাশে দাড়িঁয়েছে যারা। কালের খবর

স্টাফ রিপোর্টার, কালের খবর : মহামারি করোনার দ্বিতীয় ধাপে একে একে কেরে নিচ্ছে শত শত তাজা প্রাণ। রক্ষা পাচ্ছে না আবাল-বৃদ্ধ কেউই। একইসাথে সরকার ঘোষিত লকডাউনে কর্মহীণ হয়ে পড়েছে পেশাজীবী থেকে শুরু করে নিন্ম-মধ্যবিত্ত মানুষ। বলতে গেলে করোনাকালে পরিবার-পরিজন নিয়ে একপ্রকার দিশেহারা সবাই। প্রথম ধাপে এইসব শ্রমজীবী কর্মহীণ মানুষের পাশে প্রতিযোগিতার পাল্লাদিয়ে মাঠে নামের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনীতিক দলগুলো। কিন্তু দ্বিতীয়ধাপে এইসব শ্রমজীবী অসহায় কর্মহীণ মানুষের পাশে দু-চার জন মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ালেও বেশির ভাগ কোটিপতি ও ধনবান মানুষ নিরবতা পালন করছে। অভাব-অনটনে থাকা এই মানুষগুলোর পাশে দাড়িঁয়ে যারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তাদের মানববতার কর্মকাণ্ড বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
আকাশ কুমার ভৌমিক: ঢাকা দক্ষিন সিটি করর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৫৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক। সরকারের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গরীব দুখী ও মেহনতী মানুষের মাঝে করোনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষ যখন চিকিৎসা, খাদ্যসহ নানা সংকটে হিমশিম খাচ্ছিল, তখন তিনি সতীর্থদের নিয়ে ৫৯নং ওয়ার্ডের অলি-গলিতে ভয়-শঙ্কা উপেক্ষা করে বিপন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন কখনো অক্সিজেন নিয়ে, কখনো অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নেওয়ার কাজে। আবার কখনো লকডাউনে খাবার সংকটে পড়া পরিবারগুলোর জন্য ছুটে যান রান্না করা খাবার নিয়ে। আবার বেশিরভাগ মানুষের বাড়ি বাড়ি রাতের আধাঁরে পৌছে দিচ্ছেন চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনী খাদ্য সামগ্রী। এছাড়াও করোনা সচেতনতা কার্যক্রম থেকে শুরু করে সংকটে পড়া পরিবারগুলোতে শিশুখাদ্য জোগান, লকডাউন বাসায় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ। পাশাপাশি অতিমারিকালে আসা মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার মতো প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোতেও তিনি ও তাঁর সতীর্থরা উপহার-খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছিলেন মানুষের পাশে। এসব কারণেই মেহনতি মানুষের কাছে এখন হয়ে উঠেছেন বিপন্ন মানুষের ত্রাতা। এসব মহতী কাজে তার সাথে ছিল একঝাঁক তরুণ নেতা-কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক।
আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী গৌরব: আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী গৌরব ঢাকা দক্ষিন সিটি করর্পোরেশনের ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি। পুরান ঢাকার নবাবপুর রোড, বনগ্রাম, কাপ্তানবাজার, টিপু সুলতান রোড ও এর আশে পাশের কয়েকটি এলাকা নিয়ে এই ওয়ার্ডটি গঠিত। এই ওয়ার্ডের পূর্ব দিকে রয়েছে জয়কালি মন্দির, পশ্চিম দিকে নর্থ সাউথ রোড, উত্তর দিকে গুলিস্তান এবং দক্ষিণ দিকে রায় সাহেববাজার। মহামারি করোনাকালে প্রথম থেকেই দু:খ দুর্দশায় থাকা অসহায় মানুষের পাশে নিরবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। একইভাবে করোনা দ্বিতীয়ধাপেও হতাশাগ্রস্ত কর্মহীণ শ্রমজীবী মানুষের দাড়িয়েছেন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। আতঙ্ক আর লকডাউনে করোনা রোগী, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে যখন সবার অজানা আতঙ্ক, সুস্থ সচ্ছল মানুষ যখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে পরিবারের গণ্ডিতে, তখনও মাঠ ছাড়ানেনি তরুন কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী গৌরব। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বছরের মার্চ থেকে আজও নিরলস আর অবিচল দৃঢ়তায় মানবেতর জীবন কাটানো মানুষদের সহায়তা করে চলেছেন তিনি। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনায় আাক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের পরামশে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে আবারো মানব সেবায় নেমে পড়েছেন। এরইমধ্যে ডিএসসিসি ৩৮নং ওয়ার্ডে শ্রমজীবী অভাবী মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
সারোয়ার উদ্দিন আরিফ : করোনায় দ্বিতীয়ধাপে দেশজুড়ে শুধুই করোনা আতংক আর উৎকণ্ঠায় থাকা শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছেন সারোয়ার উদ্দিন আরিফ। সবখানেই যখন বাড়ছে মানবিক বিপর্যয়,তখনই বিপর্য মানুষের পাশে সহযোগির হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে মাতুয়াইল-দনিয়া ছাড়াও তিনি অন্যান্য এলাকাতেও মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। পেশায় তিনি ডেভেলপার্স ব্যাবসায়ী। সেফ এইড জেনারেল হাসপাতাল ও তার। লোকজন বিপদে-আপদে তার কাছে ছুটে যাচ্ছেন সাহায্য সহযোগিতার জন্য এবং তার কাছ থেকে আশানুরূপ উপকারও পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ধাপে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, লবণ, পেঁয়াজ, শুকনো খাবার বিতরণ করছেন। এছাড়া করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে দেয়া হয় মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াস ও সাবান। গতকালও শতাধিক দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন সারোয়ার উদ্দিন আরিফ। করোনা মোকাবেলায় সচেতনভাবে চলাফেরা ও ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
মাহমুদুল হাসান পলিন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন। ইতোমধ্যে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের মাঝে নিজস্ব কর্মী বাহিনী দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছেন তিনি। তরুন এই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম প্রশংসা কুড়িয়েছে ৬৮নং ওয়ার্ডবাসির মুখে মুখে। মহামারীর এ দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায়, ছিন্নমূল ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। তার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, সড়কগুলোয় জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রে এবং ৩টি পয়েন্টে জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে ৬৮নং ওয়ার্ডবাসীকে করোনামুক্ত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে ডিএসসিসির ৬৮নং ওয়ার্ডে ২ হাজার পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৬ হাজার মাস্ক, ৫০টি স্থানে ব্লিচিং পাউডার ও পানিভর্তি ড্রামসহ সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন তরুন এই কাউন্সিলর। এছাড়াও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৭ টি স্থানে প্রচারণা বুথ স্থাপন, প্রতিদিন মাইকের মাধ্যমে করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণের করণীয় সম্পর্কে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কর্মহীন-হতদরিদ্র পরিবারগুলোতে রাতের আঁধারে কাউন্সিলর নিজেই পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ। ‘৬৮নং ওয়ার্ডের একটি মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে’ সেই লক্ষ্যে তিনি কর্মহীন ও হতদরিদ্র নানা শ্রেণিপেশার মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com