শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি, কালের খবর :
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার অর্নতগত বরমী ইউনিয়নের, সাতখামাইর গ্রামের, উত্তর পাড়ায় কৃষি কাজে ব্যাবহৃত, বি.এ.ডি.সি কর্তৃক বরাদ্দকৃত সেচ প্রকল্পের অধীনে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। এর আওতায় চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায়, গত কিছুদিন পূর্বে কৃষকদের চাহিদা মােতাবেক আরও কিছু পাইপ সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়, পানির লাইন সম্প্রসারণের কাজের জন্য। কিন্তু উক্ত গভীর নলকূপের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি মােঃ খলিলুর রহমান খান, পিতাঃ মৃত আব্দুল মজিদ খান, গ্রামঃ সাতখামাইর, ডাকঘরা সাতখামাইর, উপজেলার শ্রীপুর, জেলাঃ গাজীপুর, সে কৃষকদের জন্য সরবরাহকৃত পাইপ থেকে প্রায় ১০০ ফুট পাইপ তার নিজস্ব পুকুরে পানি দেওয়ার কাজে মাটির নিচ দিয়ে স্থাপন করেন । এর ফলে গ্রামের কৃষকরা সরকারি সেচ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তারা ফসল উৎপাদন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায় উক্ত বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, বিশেষভাবে অনুরােধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকগন । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এক লিখত অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তারা। অভিযোক্ত খলিলুর রহমানের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, উক্ত পাম্প পরিচালনা কমিটির অনুমতি ক্রমে বি.এ.ডি.সি কর্তৃক বরাদ্দকৃত সেচ প্রকল্পের পানির পাইপ তার ব্যাক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন। উক্ত পাম্প পরিচালনা কমিটির ম্যানেজার, তারই ভাই মোঃ শহিদুল্লা বলেন, বি.এ.ডি.সি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে, ঠিকাদারের মাধ্যমে, কৃষি সেচ প্রকল্পের পাইপ তারা ব্যাক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারন কাজে ব্যাবহৃত জিনিস ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহার করা বৈধ না অবৈধ ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি অবৈধ। তবে সরকার চাইলে আামরা ফেরত দিয়ে দিব। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান খলিলুর রহমান কতৃক বিএডিসির কৃষি সম্প্রসারনের পাইপ আত্মসাতের ফলে ব্যাহত হয়েছে কৃষি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক। তারা অভিযুক্ত খলিল ও তার ভাই শহিদুল্লাহকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।