শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
২০২০ সালে দেশে বিচ্ছিন্নভাবে ৪ হাজার ৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, একই সময় দেশে রেলপথে ৩২৩টি দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭৯ জন। নৌপথে ১৮৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩১৩ জন ও আহত হয়েছেন ৩৪২ জন এবং নিখোঁজ হয়েছেন আরও ৩৭১ জন।
সড়ক, রেল, নৌ-পথে সর্বমোট ৫ হাজার ৩৯৭ টি দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৩১৭ জন নিহত এবং ৯ হজার ২১ জন আহত হয়েছেন।
পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে আরো দেখা গেছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমেছে। একইভাবে, বেপরোয় গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হায়িয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ০ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ ০ দশমিক ১৬ শতাংশ কমলেও মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট দুর্ঘটনার ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। ২০১৯ সালের চেয়ে বিদায়ী বছরে আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও জাতীয় মহাসড়কে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, লেভেল ক্রসিং এ ০ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ফিডার রোডে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি তাদের পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ১৫টি কারণ তুলে ধরেছে। সেগুলো হলো- বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, রাস্তার ত্রুটি, ফিটসেববিহীন যান, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাসক সেবন করে গাড়ি চালানো, ফিডার রোড থেকে হঠাৎ মহাসড়কে উঠে আসা, ফুটপাত দখলে থাকা বা ফুটপাত না থাকা, ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ না থাকা, ছোট যানের বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার পাশে হাটবাজার এবং ত্রুটিপূর্ণ যান রাস্তায় নামানো। এসব সমস্যা সমাধান করে ১২টি সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এর আগে, করোনার বছর ২০২০ সালে প্রায় দুই মাস বাসসহ পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার হাজার ৯৬৯ জনের। এ সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে চার হাজার ৯২টি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫ হাজার ৮৫ জন। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এতে সড়ক দুর্ঘটনার ১৩টি কারণও তুলে ধরা হয়।