বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন
আদালত অবমাননা করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন মিয়া।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাতে যশোর রাজারহাট মোড়ের একটি পিকআপ গাড়ির ধাক্কায় অপর পিকআপে থাকা শাহবুল মিয়া আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঢাকা মেট্রো ড-১২-১৪৩৬ পিকআপটি জব্দ করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শিমুল হোসেন অপরিচিত গাড়িচালককে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পিকআপটির মালিকানা দাবি করে জিম্মায় নেয়ার জন্য যমুনা ব্যাংক লিমিটেড ও র্যানকন অটোমোবাইলস লিমিটেডের রিকভারি অফিসার রমজান আলী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আবেদন নামঞ্জুর হলে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিউ আবেদন করেন।
গত ২৭ আগস্ট শুনানি শেষে পিকআপটি দরখাস্তকারীর জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক। ১৪ সেপ্টেম্বর জুডিসিয়াল আদালতে জিম্মানামা জমা দেয়া হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানাকে জব্দকৃত গাড়ি আবেদনকারীর জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হাজির হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন মিয়া তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় গাড়ি দেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ। ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা লিটন মিয়া পিকআপটি জিম্মায় না দিয়ে আদালতে একটি লিখিত অবহিতকরণ দরখাস্ত দেয়।
তাতে উল্লেখ করেন, মামলার মূল আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। এমতাবস্তায় গাড়িটি জিম্মায় দিলে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না। ২৩ সেপ্টেম্বর পিকআপের জিম্মাদার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিষয়টি অবিহিত করে আবেদন করেন।
এ আবেদনের শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশ অমান্য করা আদালত অবমাননার শামিল। ফলে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।