বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, কালের খবর :
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প এর নির্মিত সেতুগুলো কোনো কাজে আসছে না। দুর্যোগ দূর করতে নির্মিত হলেও সেই সেতুগুলোই এখন দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে দিনে বাড়ছে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ। নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর চিলমারীর বাস্তবায়নে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে স্থান ভেদে ৬০ ফিট থেকে ২০ ফিট পর্যন্ত বেশ কিছু সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুগুলো স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগ দূর করতে এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অধীনে তৈরি করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে মিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ শেষ করলেও সড়কের সঙ্গে সংযোগ বা মাটি না দিয়েই কাজের সমাপ্তি করে। কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে নজর না দেয়ায় দুর্যোগ এড়ানোর জন্য নির্মিত সেতুগুলোই এখন মানুষের কাছে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরজমিন উপজেলা রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়কের পাশে ফয়েজ আলীর বাড়ির নিকট নির্মিত সেতু ও পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া সাইদালীর বাড়ির নিকট নির্মিত সেতু দু’টির সংযোগ না থাকায় সেতু দু’টি এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব আলী, রবিউল ইসলাম, মোজাম আলী, আবদুল মজিদ বিএসসিসহ অনেকে বলেন, এখানে সেতুর তেমন প্রয়োজন ছিল না আর তৈরি যখন হয়েছে কিন্তু মাটি ভরাট না করায় তা আমাদের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিলমারী ইউনিয়নের গাজীর পাড়া সড়কে নির্মিত সেতুটি প্রায় ৩ বছর আগে নির্মিত হলেও এখন পর্যন্ত সংযোগস্থলে মাটি না থাকায় মানুষজন যানবাহন দিয়ে এখন ব্রিজের নিচ দিয়েই চলাচল করছে।
শুধু ওই তিন এলাকায় নয় এ ধরনের বেশ কিছু সেতু নামে মাত্র নির্মাণ করেই বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি সূত্র জানায়। ফলে কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভ হলেও দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীদের। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কহিনূর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার সঙ্গে সেতুগুলোর সংযোগ দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ বলেন, এধরনের কোনো সমস্যা থাকলে সরজমিন দেখে জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।