বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর
যাত্রীছাউনিতে ভাসমান দোকান। কালের খবর

যাত্রীছাউনিতে ভাসমান দোকান। কালের খবর

কালের খবর রিপোর্ট :

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি। কিন্তু যাত্রী বসার কোনো অবস্থা নাই। তবে দোকান আছে। ছবি: তাইয়্যেবুর রহমান
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি। কিন্তু যাত্রী বসার কোনো অবস্থা নাই। তবে দোকান আছে। ছবি: তাইয়্যেবুর রহমান
রাজধানীর একটি বাসস্ট্যান্ড। বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেক যাত্রী। বাস এলেই উঠে পড়ছেন। বাস আসতেই অনেকে উঠছেন কিন্তু ভিড় কমছে না। পাশেই একটি যাত্রীছাউনি রয়েছে কিন্তু কেউ বসছেন না। কারণ, যাত্রীছাউনিটি বসার উপযোগী নয়। সেখানে দোকানে চলছে কেনাবেচা।

এতক্ষণ বলছিলাম মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনির কথা। সম্প্রতি সেখানকার অবস্থা দেখার পরই মনে হয়েছে, দেখার কি আসলে কেউ নেই?

মোহাম্মদপুর বিআরটিসি ডিপোর পাশের যাত্রীছাউনিটির অবস্থাও খুবই নাজুক। সেটির বসার অনেকাংশ ভাঙা, কিছু অংশ ময়লা–আবর্জনায় ভরা। এ ছাড়া যাত্রীছাউনির ব্যবহারযোগ্য অংশে দোকান। সেই দোকানে শিঙারা, পুরি, কোমল পানীয়ের কেনাবেচা চলছে। দোকানের জন্য কাটাকাটির কাজ যা হয়, সবকিছু চলছে যাত্রীছাউনিতে। এর নিচে একটি ফ্রিজও রাখা আছে। তার পেছনেই চুলা বসিয়ে শিঙারা, পুরি, আলুর চপ, জিলাপিসহ নানান খাবার তৈরি হচ্ছে। দেখা গেল, যাত্রীছাউনির বসার জায়গায় একটি বড় পাত্রে আলু কেটে রাখা হয়েছে। অন্য একটি পাত্রে ময়দা গুলিয়ে রাখা হয়েছে। পাশেই ভাজার জন্য শিঙারা ও পুরি তৈরি হচ্ছে। সেখানে বসে একজন পেঁয়াজ কাটছেন। এ অবস্থায় সেখানে যাত্রীদের বসার কোনো সুযোগ নেই।

অনেকেই দোকানের শিঙারা-পুরি কিনে দাঁড়িয়ে দোকানের পাশেই খাচ্ছেন। আর এতে পথচলতি মানুষকে ফুটপাত থেকে নেমে সড়ক দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে।

যাত্রীছাউনির দোকান চলছে পুরি ও শিঙারা বিক্রি। ছবি: তাইয়্যেবুর রহমান
যাত্রীছাউনির দোকান চলছে পুরি ও শিঙারা বিক্রি। ছবি: তাইয়্যেবুর রহমান
এখানকার নিয়মিত একজন যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এ যাত্রীছাউনির অবস্থা এমনই। এটি ব্যবহারের উপযোগী নয়। কোথায় বসবেন? বসার জায়গা আছে? পরিবেশ আছে?

মোহাম্মদপুরের একজন বাসিন্দা জানান, অনেক সময় বৃষ্টি হলে যাত্রীছাউনিতে গিয়ে একটু আশ্রয় নেওয়া যায়। অনেক বয়স্ক লোক ও অসুস্থ লোক থাকেন। তাঁরা একটু বসতে পারেন। কিন্তু বসার পরিবেশ না থাকায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন। বিশেষ করে অসুস্থ, বয়স্ক, নারী ও স্কুলগামী শিশুদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com