বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
দরিদ্র বলে মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স, রাস্তায় মায়ের কোলেই প্রাণ গেল শিশুর। কালের খবর

দরিদ্র বলে মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স, রাস্তায় মায়ের কোলেই প্রাণ গেল শিশুর। কালের খবর

কালের খবর,আন্তর্জাতিক ডেস্ক :- অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে বা সন্তানের মৃতদেহ কোলে নিয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটার ঘটনা ভারতে নতুন নয়। বিষয়টি বেশ কয়েকবার সংবাদের শিরোনামও হয়েছে।

অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মৃতদেহ কোলে নিয়ে হাঁটার বিষয়টি আবারো শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার ঘটনাস্থল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, সোমবার নয় বছরের ছেলের জ্বর আসায় তাকে শাহজাহানপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন বাবা। কিন্তু চিকিৎসকরা রোগীকে দেখার পর অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখনই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান রোগীর বাবা।

কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাবে না। অথচ হাসপাতাল চত্বরেই সেই সময় তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা ছিল বলে জানান রোগীর বাবা।

তিনি বলেন, “হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স থাকতেও কেন আমাদের দেওয়া হল না, ভেবেই পেলাম না।” কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের আশায় তো আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা যায় না। কিন্তু গাড়ি ভাড়া করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খরচও কম নয়।

এদিকে ক্রমেই ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাই দরিদ্র পরিবারের ওই দম্পতি ছেলেকে কোলে নিয়েই রওনা দেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে মায়ের কোলেই মারা যায় ছেলে।

ছেলের শোকে মর্মাহত মা বলেন, “হাসপাতাল থেকে ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই ও চিরদিনের মতো চলে গেল।”

যদিও হাসপাতালের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার অনুরাগ পরাশর বলেন, “সন্ধ্যা ৮টা ১০ মিনিটের দিকে আফরোজ নামের এক শিশুকে এখানে নিয়ে আসেন এক দম্পতি। ওর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই তাকে লখনউয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

এমন পরামর্শে মেজাজ হারান দম্পতি। চিৎকার করতে থাকেন, নিজেদের সন্তানকে তারা যেখানে ভালো বুঝবেন নিয়ে যাবেন। এই বলে শিশুকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়।”

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com