শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
মোদির অভিনন্দন, এক্ট ইস্ট পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকার দিকে তাকিয়ে দিল্লি। কালের খবর

মোদির অভিনন্দন, এক্ট ইস্ট পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকার দিকে তাকিয়ে দিল্লি। কালের খবর

ইন্দ্রানি বাগচি, কালের খবর :

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘হ্যান্ডসাম’ভাবে বিজয়ী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। ফলে পূর্বাঞ্চলীয় এই প্রতিবেশী দেশটিতে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ভারত। একই সঙ্গে ভারতের ‘এক্ট ইস্ট পলিসি’র অপরিহার্য হিসেতে তৈরি করা হচ্ছে।
বিদেশি নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো প্রথম নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছেন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পুনরায় আস্থা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশি জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছে ভারত। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। বিবৃতিতে বলা হয়, তার (শেখ হাসিনা) সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্ব অব্যাহতভাবে বিকশিত হবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি (মোদি)।

বিগত বছরে ভারতের সব প্রতিবেশী দেশে, যেমন পাকিস্তান থেকে নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপে নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ হলো একমাত্র দেশ, যেখানে ক্ষমতাসীনদের অব্যাহতভাবে ক্ষমতায় থাকা হলো ভারতের স্বার্থ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তাদের ভূমি ও নৌ সীমানা নিয়ে সমস্যার সমাধান করার মধ্য দিয়ে তারা সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করেছে।
বাংলাদেশে হাসিনার বিজয়ে উগ্রপন্থি শক্তিগুলোকে, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতকে পিছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ঢাকার গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছে, নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানি আইএসআই সক্রিয় ছিল বলে তারা নোটিশ করেছে।
ভারতের সবচেয়ে বেশি সহায়তা পায় এখন বাংলাদেশ। হাসিনার বিজয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের দুটি স্তম্ভকে আরো গভীর করবে। তা হলো নিরাপত্তা ও কানেকটিভিটি বা সংযুুক্তি। শেখ হাসিনা আগাগোড়াই ভারতের মিত্র। এ জন্যই তিনি ভারতের নিরাপত্তার কথাও ভাবেন। এর বিনিময়ে হাসিনার বড় উদ্বেগের বিষয় রোহিঙ্গা ইস্যু। এ ইস্যুতে আরো বেশি সেনসিটিভভাবে কাজ করতে হবে ভারতকে। কাজ করতে হবে মিয়ানমারের সঙ্গে, যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়। পাশাপাশি বাংলাদেশকে করতে হবে মানবিক সহায়তা।
আগামী বছরগুলোতে রোহিঙ্গাদের পরিণতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে।
(টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন)

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com