বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
ইন্দ্রানি বাগচি, কালের খবর :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘হ্যান্ডসাম’ভাবে বিজয়ী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। ফলে পূর্বাঞ্চলীয় এই প্রতিবেশী দেশটিতে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ভারত। একই সঙ্গে ভারতের ‘এক্ট ইস্ট পলিসি’র অপরিহার্য হিসেতে তৈরি করা হচ্ছে।
বিদেশি নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো প্রথম নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছেন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পুনরায় আস্থা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশি জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছে ভারত। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। বিবৃতিতে বলা হয়, তার (শেখ হাসিনা) সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্ব অব্যাহতভাবে বিকশিত হবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি (মোদি)।
বিগত বছরে ভারতের সব প্রতিবেশী দেশে, যেমন পাকিস্তান থেকে নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপে নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ হলো একমাত্র দেশ, যেখানে ক্ষমতাসীনদের অব্যাহতভাবে ক্ষমতায় থাকা হলো ভারতের স্বার্থ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তাদের ভূমি ও নৌ সীমানা নিয়ে সমস্যার সমাধান করার মধ্য দিয়ে তারা সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করেছে।
বাংলাদেশে হাসিনার বিজয়ে উগ্রপন্থি শক্তিগুলোকে, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতকে পিছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে। ঢাকার গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছে, নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানি আইএসআই সক্রিয় ছিল বলে তারা নোটিশ করেছে।
ভারতের সবচেয়ে বেশি সহায়তা পায় এখন বাংলাদেশ। হাসিনার বিজয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের দুটি স্তম্ভকে আরো গভীর করবে। তা হলো নিরাপত্তা ও কানেকটিভিটি বা সংযুুক্তি। শেখ হাসিনা আগাগোড়াই ভারতের মিত্র। এ জন্যই তিনি ভারতের নিরাপত্তার কথাও ভাবেন। এর বিনিময়ে হাসিনার বড় উদ্বেগের বিষয় রোহিঙ্গা ইস্যু। এ ইস্যুতে আরো বেশি সেনসিটিভভাবে কাজ করতে হবে ভারতকে। কাজ করতে হবে মিয়ানমারের সঙ্গে, যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়। পাশাপাশি বাংলাদেশকে করতে হবে মানবিক সহায়তা।
আগামী বছরগুলোতে রোহিঙ্গাদের পরিণতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে।
(টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন)