বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীনগরে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদরে যেতে সিএনজির ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে। কালের খবর নবীনগরে অস্ত্র সহ ১ যুবক গ্রেফতার। কালের খবর দেবিদ্বারে সাবেক সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। কালের খবর খাগড়াছড়িতে দুই একর জায়গাজুড়ে গাঁজা চাষ, ধ্বংস করলো সেনাবাহিনী। কালের খবর রাঙ্গামাটিতে দুই লাখ টাকার বন্ধকি সম্পত্তির দলিল দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে একটি পরিবার। কালের খবর মাটিরাঙ্গা জোনে মাসিক নিরাপত্তা ও মতবিনিময় সভা। কালের খবর নবীনগরে ও রায়পুরায় অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসবকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গুলাগুলি। কালের খবর রায়পুরাতে আলোকিত সমাজের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। কালের খবর চিরিরবন্দরে ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর
আসেম সম্মেলনেও নীরব সু চি

আসেম সম্মেলনেও নীরব সু চি

ফাইল ছবি

মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে সোমবার এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে এশিয়ার শক্তিধর দেশ চীন ও ভারত এবং ইইউ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের ব্যাপারে কথা বলবেন বিশ্ব নেতারা এবং সেখানে মিয়ানমারও কোনো সমাধান দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু এপির এক খবরে বলা হয়েছে, বরাবরে মতোই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নীরব অবস্থান নিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অং সান সু চি। বরং সোমবারের ওই সম্মেলনে এশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে একটি নতুন এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা উন্নয়ন ও রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, নতুন যোগাযোগের জন্য আমাদের অবশ্যই অংশীদারিত্ব লালন করা উচিত। এটা শুধুমাত্র সরকারগুলোর মধ্যেই নয় বরং বেসরকারি খাত এবং বেসামরিক নাগরিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও এবং তা অবশ্যই এক দেশ থেকে অন্য দেশের মানুষের মধ্যেও হওয়া উচিত।

এশিয়া এবং ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনব্যাপী আসেমের ১৩তম উদ্বোধনী ভাষণে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী সু চি এমন মন্তব্য করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরব অবস্থানের কারণে শুরু থেকেই সমালোচিত হয়ে আসছেন সু চি। এ সম্মেলনেও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি। বরাবরের মতোই এখানেও রোহিঙ্গা ইস্যুকে এড়িয়ে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মানিত প্রতিনিধি ফেডেরিকা মোগেরিনি এবং অন্যান্যরা বক্তব্য দিয়েছেন।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানে হত্যা, ধর্ষণ এবং রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সেনারা।

সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। নিজের দেশে সেনাবাহিনীর এমন বর্বরতা দেখেও চুপ করে থেকেছেন শান্তিতে নোবেল পাওয়া নেত্রী অং সান সু চি।

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি বরং বরাবরই সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন রেখে তিনি রোহিঙ্গাবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রকৃত অবস্থান জানতে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সফর করেছেন। এসব ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রোববার তারা জানিয়েছেন যে, আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরবেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশকেও অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারাও চায় যে আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কঠোর অবস্থান নেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

আসেম সম্মেলনে পরিবহন, পর্টন, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, শিক্ষা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কূটনীতিক বলেছেন, আমি এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি যে, ইউরোপীয়ান নেতারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা এ বিষয়টি সমাধানের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই চাপ দেবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com