শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
সীতাকুণ্ড, চট্রগ্রাম, কালের খবর :
নিহত বজলুর রহমান ওই গ্রামের মৃত মজিবুল হকের ছেলে। তিন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঘাতক মামাতো ভাই একই গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে তৌহিদ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মামাতো-ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে সম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। তৌহিদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়িতে আসার খবর পুলিশকে জানাতেন বলে ফুফাতো ভাই বজলুর রহমানকে সব সময় সন্দেহ করতেন। এসব কারণেই তোহিদ অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি কোপালে বজলুর রহমানের হাতের কব্জি আলাদা হয়ে যায়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পরপর দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় বজলুর রহমানকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘাতক তৌহিদ ছোটবেলা থেকেই উচ্ছৃঙ্খল হিংস্র প্রকৃতির ছিলেন সামান্য কারণেই তিনি মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ২০০৫ সালে একটি জীবিত গর্ভবতী গরুর পা কেটে নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে পার্টির আয়োজন করেছিলেন তিনি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, মূলত সম্পদের বিরোধ ও পুলিশকে তার খবর জানানোর বিষয় নিয়ে সন্দেহ থেকেই বজলুর রহমানকে খুন করে তৌহিদ। তার নামে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে।