অবৈধ সরকারের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্গঠন, মিথ্যা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করে সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঢাকায় দুই দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে এবং ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগরে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী এবং ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আব্দুল্লাপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বলেছিল, ১০ টাকা মূল্যে চাল খাওয়াবে, কোথায় সেই ১০ টাকার চাউল? বলেছিলেন বিনামূল্যের সার দেবেন, কোথায় সেই সার? আজ সারের দাম বেড়েছে তিনগুণ।
তিনি বলেন, মাত্র দুই কোটি টাকার মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। একটি মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। আজকে মানুষ শপথ নিয়েছে আর এই অন্যায় অবিচার নয়; এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যারা আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, তাদের অধীনে আর নয়।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সংসদে এমন আইন পাস করা হয়, যে আইনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে। এখানে জনগণের জন্য কোনো কাজ করা হয় না। এখন আর কথা বলার সময় নেই। এখন একটাই কথা সেটি হলো, এই অবৈধ লুটেরা সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, সুনামি এলে দেয়াল দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, ঝড় এলে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। অনেক বাধা দিয়েও আজকের সমাবেশ বানচাল করতে পারেনি। এই সরকার বাংলাদেশবিরোধী সরকার, এই সরকার গণতন্ত্রবিরোধী সরকার, এই সরকার বাংলাদেশের জনগণবিরোধী সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সংবিধানের সবচেয়ে বড় যে জিনিস সেটি হলো, মানুষের অধিকার। আর এই সরকার সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এমন একটি ভোট চাই, যেখানে আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। সেই ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করব।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। দুপুর ২টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সকাল থেকেই সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে যায় সমাবেশস্থল।
সমাবেশের শুরুতে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা মঞ্চে গান পরিবেশন করা হয়। গান পরিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন।